আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

২. পাক-পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ১১৩
২০. জুনুবী ব্যক্তির জানাবত স্মরণ না থাকার কারণে নামায পড়িলে সেই নামায পুনরায় পড়া এবং গোসল করা ও কাপড় ধোয়া প্রসঙ্গে
রেওয়ায়ত ৮৩. ইয়াহইয়াহ ইবনে আব্দুর রহমান (রাহঃ) তাহার পিতা হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ)-এর সঙ্গে উমরাহ করিলেন একই কাফেলায়। আর সেই কাফেলায় আমর ইবনুল আস্ (রাযিঃ)-ও ছিলেন। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) কোন পানির (চশমা বা কূপ) নিকটবর্তী এক রাস্তায় (রাস্তার পাশে) রাত্রির শেষাংশে অবতরণ করিলেন। উমর (রাযিঃ)-এর ইহতিলাম হইল। (এইদিকে) ফজর হইতে লাগিল কিন্তু কাফেলার সহিত পানি পাওয়া গেল না। তিনি সওয়ার হইয়া পানির নিকট আসিলেন। অতঃপর তিনি ইহতিলামের যা চিহ্ন দেখিলেন উহা ধুইতে লাগিলেন, তখন ফরসা হইয়া গিয়াছে। আমর ইবনুল আস (রাযিঃ) তাহাকে বলিলেনঃ আপনি ভোর করিলেন অথচ আমাদের সহিত কাপড় রহিয়াছে, আপনি আপনার বস্ত্র রাখিয়া দিন, (পরে) ধোয়া হইবে। উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) বলিলেনঃ ইবনুল আস্! আশ্চর্য তোমার প্রতি! তোমার যদিও অনেক বস্ত্র আছে, কিন্তু প্রত্যেক ব্যক্তির নিকট কি তদ্রূপ আছে? আল্লাহর কসম, আমি যদি ইহা করি তবে ইহা সুন্নতে পরিণত হইবে। আমি বরং যাহা আলামত দেখিব উহা ধুইব, আর যাহা দেখা না যায় উহাতে পানি ছিটাইয়া দিব।

মালিক (রাহঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি তাহার কাপড়ে ইহতিলামের আলামত দেখিতে পায়, কোন সময় ইহতিলাম হইয়াছে সে তাহা জানে না, স্বপ্নে যা দেখিয়াছে তাহাও স্মরণ নাই, তবে সে সদ্য যে নিদ্রা হইতে জাগিয়াছে উহাতে (ইহতিলাম হইয়াছে বলিয়া গণ্য করিয়া) গোসল করবে। যদি সে এই নিদ্রার পর নামায পড়িয়া থাকে তবে সেই নামায পুনরায় পড়িবে। কারণ লোকের (অনেক সময়) ইহতিলাম হয় কিন্তু কোন কিছু (স্বপ্নে) দেখে না, আবার কোন সময় স্বপ্ন দেখে কিন্তু ইহতিলাম হয় না। তাই কাপড়ে যদি পানি দেখে (ইহতিলাম স্মরণ না থাকিলেও) তবে তাহার উপর গোসল ওয়াজিব হইবে। কারণ উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) এই ঘটনায় শেষ বারের নিদ্রা হইতে জাগ্রত হইবার পর যে নামায পড়িয়াছিলেন তিনি সেই নামায পুনরায় পড়িয়াছেন, উহার পূর্ববর্তী নামায অর্থাৎ ঐ নিদ্রার পূর্বের নামায তিনি কাযা করেন নাই।
بَاب إِعَادَةِ الْجُنُبِ الصَّلَاةَ وَغُسْلِهِ إِذَا صَلَّى وَلَمْ يَذْكُرْ وَغَسْلِهِ ثَوْبَهُ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَاطِبٍ، أَنَّهُ اعْتَمَرَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي رَكْبٍ فِيهِمْ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ وَأَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ عَرَّسَ بِبَعْضِ الطَّرِيقِ قَرِيبًا مِنْ بَعْضِ الْمِيَاهِ فَاحْتَلَمَ عُمَرُ وَقَدْ كَادَ أَنْ يُصْبِحَ فَلَمْ يَجِدْ مَعَ الرَّكْبِ مَاءً فَرَكِبَ حَتَّى جَاءَ الْمَاءَ فَجَعَلَ يَغْسِلُ مَا رَأَى مِنْ ذَلِكَ الاِحْتِلاَمِ حَتَّى أَسْفَرَ فَقَالَ لَهُ عَمْرُو بْنُ الْعَاصِ أَصْبَحْتَ وَمَعَنَا ثِيَابٌ فَدَعْ ثَوْبَكَ يُغْسَلُ . فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَاعَجَبًا لَكَ يَا عَمْرُو بْنَ الْعَاصِ لَئِنْ كُنْتَ تَجِدُ ثِيَابًا أَفَكُلُّ النَّاسِ يَجِدُ ثِيَابًا وَاللَّهِ لَوْ فَعَلْتُهَا لَكَانَتْ سُنَّةً بَلْ أَغْسِلُ مَا رَأَيْتُ وَأَنْضِحُ مَا لَمْ أَرَ . قَالَ مَالِكٌ فِي رَجُلٍ وَجَدَ فِي ثَوْبِهِ أَثَرَ احْتِلاَمٍ وَلاَ يَدْرِي مَتَى كَانَ وَلاَ يَذْكُرُ شَيْئًا رَأَى فِي مَنَامِهِ قَالَ لِيَغْتَسِلْ مِنْ أَحْدَثِ نَوْمٍ نَامَهُ فَإِنْ كَانَ صَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ النَّوْمِ فَلْيُعِدْ مَا كَانَ صَلَّى بَعْدَ ذَلِكَ النَّوْمِ مِنْ أَجْلِ أَنَّ الرَّجُلَ رُبَّمَا احْتَلَمَ وَلاَ يَرَى شَيْئًا وَيَرَى وَلاَ يَحْتَلِمُ فَإِذَا وَجَدَ فِي ثَوْبِهِ مَاءً فَعَلَيْهِ الْغُسْلُ وَذَلِكَ أَنَّ عُمَرَ أَعَادَ مَا كَانَ صَلَّى لآخِرِ نَوْمٍ نَامَهُ وَلَمْ يُعِدْ مَا كَانَ قَبْلَهُ .
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মুওয়াত্তা মালিক - হাদীস নং ১১৩ | মুসলিম বাংলা