আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

২. পাক-পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৭৭
১০. নাক দিয়া রক্ত ঝরা ও বমি সম্পৰ্কীয় বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৪৭. মালিক (রাহঃ) বলেনঃ তাহার নিকট রেওয়ায়ত পৌছিয়াছে যে, আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-এর নাক দিয়া রক্ত নির্গত হইলে তিনি বাহির হইতেন এবং রক্ত পরিষ্কার করিতেন, তারপর প্রত্যাবর্তন করিয়া নামায যতটুকু পড়িয়াছেন উহার (উপর ভিত্তি করিয়া) অবশিষ্ট নামায পড়িতেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الرُّعَافِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، أَنَّهُ بَلَغَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، كَانَ يَرْعُفُ فَيَخْرُجُ فَيَغْسِلُ الدَّمَ عَنْهُ ثُمَّ يَرْجِعُ فَيَبْنِي عَلَى مَا قَدْ صَلَّى .

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে অযু ভেঙ্গে যায়। মানুষের শরীর থেকে নাপাক বের হওয়ার স্বাভাবিক স্থান হলো পায়খানা এবং পেশাবের রাস্তা। এ দু’টির বাইরে নাক থেকে রক্ত বের হলে অযু ভাঙ্গা দ্বারা আরো প্রমাণিত হয় যে, পায়খানা এবং পেশাবের রাসত্মা ব্যতীত শরীরের ভিন্ন কোন স্থান থেকে রক্ত বের হলেও অযু ভেঙ্গে যাবে। এ বিষয়ে সহীহ সনদে হযরত ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, নামাযের মধ্যে কারো নাক দিয়ে রক্ত বের হলে বা বমি বেরিয়ে আসলে অথবা মজী দেখলে সে ব্যক্তি নামায থেকে সরে গিয়ে অযু করবে। অতঃপর ফিরে এসে ছুটে যাওয়া নামায পুরো করবে যতক্ষণ কথা না বলে। (আব্দুর রাযযাক: ৩৬০৯) হযরত আলী রা. থেকে হাসান সনদে বর্ণিত আছে যে, তোমাদের কেউ যখন তার পেটে (বায়ুজনিত) পীড়া অথবা নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া বা বমি লক্ষ্য করে, সে যেন নাকে হাত দিয়ে বের হয়ে গিয়ে অযু করে নেয়। (আব্দুর রাযযাক: ৩৬০৭)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান