আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

২. পাক-পবিত্রতা অর্জনের অধ্যায়

হাদীস নং: ৭৬
১০. নাক দিয়া রক্ত ঝরা ও বমি সম্পৰ্কীয় বর্ণনা
রেওয়ায়ত ৪৬. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, যখন আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমর (রাযিঃ)-এর নাক দিয়া রক্ত বাহির হইত, তখন নামায হইতে তিনি ফিরিয়া যাইতেন। অতঃপর ওযু করিতেন এবং পুনরায় আসিয়া অবশিষ্ট নামায পড়িতেন, আর তিনি (এই অবস্থায়) কথা বলিতেন না।
بَاب مَا جَاءَ فِي الرُّعَافِ
حَدَّثَنِي يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ نَافِعٍ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ ثُمَّ رَجَعَ فَبَنَى وَلَمْ يَتَكَلَّمْ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে অযু ভেঙ্গে যায়। মানুষের শরীর থেকে নাপাক বের হওয়ার স্বাভাবিক স্থান হলো পায়খানা এবং পেশাবের রাস্তা। এ দু’টির বাইরে নাক থেকে রক্ত বের হলে অযু ভাঙ্গা দ্বারা আরো প্রমাণিত হয় যে, পায়খানা এবং পেশাবের রাসত্মা ব্যতীত শরীরের ভিন্ন কোন স্থান থেকে রক্ত বের হলেও অযু ভেঙ্গে যাবে। এ বিষয়ে সহীহ সনদে হযরত ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, নামাযের মধ্যে কারো নাক দিয়ে রক্ত বের হলে বা বমি বেরিয়ে আসলে অথবা মজী দেখলে সে ব্যক্তি নামায থেকে সরে গিয়ে অযু করবে। অতঃপর ফিরে এসে ছুটে যাওয়া নামায পুরো করবে যতক্ষণ কথা না বলে। (আব্দুর রাযযাক: ৩৬০৯) হযরত আলী রা. থেকে হাসান সনদে বর্ণিত আছে যে, তোমাদের কেউ যখন তার পেটে (বায়ুজনিত) পীড়া অথবা নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া বা বমি লক্ষ্য করে, সে যেন নাকে হাত দিয়ে বের হয়ে গিয়ে অযু করে নেয়। (আব্দুর রাযযাক: ৩৬০৭)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
rabi
বর্ণনাকারী:
মুওয়াত্তা মালিক - হাদীস নং ৭৬ | মুসলিম বাংলা