আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ

১. নামাযের সময়সূচী

হাদীস নং: ২৯
৭. দ্বিপ্রহরে (উহার প্রখর রৌদ্রতাপে) নামায পড়া নিষেধ
রেওয়ায়ত ২৯. আবু হুরায়রা (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করিয়াছেনঃ যখন গ্রীষ্মের প্রচণ্ডতা বৃদ্ধি পায় তখন তোমরা নামায দেরি করিয়া পড়িও। কারণ গ্রীষ্মের প্রখরতার উৎপত্তি জাহান্নামের মূল হইতেই।
بَاب النَّهْيِ عَنْ الصَّلَاةِ بِالْهَاجِرَةِ
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا عَنْ الصَّلَاةِ فَإِنَّ شِدَّةَ الْحَرِّ مِنْ فَيْحِ جَهَنَّمَ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, গরমকালে রসূল স. যোহরের নামায ঠান্ডা করে পড়তে বলেছেন অর্থাৎ দেরি করে পড়তে বলেছেন যাতে সূর্যের তাপ কমে ঠান্ডা হয়ে যায়। এ বিষয়টি হযরত আবু মাসউদ বদরী রা. থেকে আবু দাউদ শরীফের একটি হাদীসে আরো স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে যে, رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ، وَرُبَّمَا أَخَّرَهَا حِينَ يَشْتَدُّ الْحَرُّ، আমি রসূল স.কে দেখেছি সূর্য ঢলে পড়ার সাথে সাথে যোহরের নামায আদায় করতেন। তবে গরমের প্রচন্ডতা বৃদ্ধি পেলে তিনি নামায দেরি করে আদায় করতেন। (আবু দাউদ-৩৯৪)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন
মুওয়াত্তা মালিক - হাদীস নং ২৯ | মুসলিম বাংলা