আল মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক রহঃ
১. নামাযের সময়সূচী
হাদীস নং: ৬
১. পাঁচ ওয়াক্তের সময়
রেওয়ায়ত ৬. নাফি’ (রাহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবনে খাত্তাব (রাযিঃ) তাহার (অধীনস্থ) কর্মকর্তাদের নিকট লিখিয়াছেনঃ আমার মতে তোমাদের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ কাজ হইতেছে নামায, তাই যে উহার রক্ষণাবেক্ষণ করিল এবং (নিষ্ঠার সহিত) বরাবর আঞ্জাম দিল সে নিজের দ্বীনের হিফাজত করিল, আর যে নামাযকে নষ্ট করিল, সে নামায ছাড়া অন্যান্য ধর্মীয় দীনি কাজেরও অধিক নষ্টকারী হইবে। তিনি আরও লিখিলেনঃ তোমরা যোহরের নামায পড়িও যখন ফাই (সূর্য পশ্চিমে হেলিয়া পড়ার পর যে ছায়া হয় তাহা) এক হাত হয়। এই নামাযের সময় তোমাদের প্রত্যেকের ছায়া তাহার সমপরিমাণ হওয়া পর্যন্ত। আর আসরের নামায পড়িও যখন সূর্য উর্ধ্বে উজ্জ্বল ও পরিচ্ছন্ন থাকে। (সেই সময় হইতে) সূর্যাস্তের পূর্বে সওয়ারী ব্যক্তি দুই অথবা তিন ফরসখ চলিতে পারে এতটুকু সময় পর্যন্ত। আর মাগরিব পড়িও যখন সূর্য ডুবিয়া যায়, আর ইশা পড়িও (শফক) (شفق) অদৃশ্য হওয়ার পর হইতে এক-তৃতীয়াংশ রাত পর্যন্ত। আর যে (ঈশা না পড়িয়া) নিদ্রা যায় তাহার চক্ষুর যেন নিদ্রা নসিব না হয়, আর যে নিদ্রা যায় তাহার চক্ষুর যেন নিদ্রা নসিব না হয়, আর যে নিদ্রা যায় তাহার চক্ষুর যেন নিদ্রা নসিব না হয়। আর ফজর (পড়িও) যখন নক্ষত্রসমূহ পরিষ্কারভাবে প্রকাশিত হয় এবং পরস্পর খাপিয়া যায়।
وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ، كَتَبَ إِلَى عُمَّالِهِ إِنَّ أَهَمَّ أَمْرِكُمْ عِنْدِي الصَّلاَةُ فَمَنْ حَفِظَهَا وَحَافَظَ عَلَيْهَا حَفِظَ دِينَهُ وَمَنْ ضَيَّعَهَا فَهُوَ لِمَا سِوَاهَا أَضْيَعُ . ثُمَّ كَتَبَ أَنْ صَلُّوا الظُّهْرَ إِذَا كَانَ الْفَىْءُ ذِرَاعًا إِلَى أَنْ يَكُونَ ظِلُّ أَحَدِكُمْ مِثْلَهُ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ مُرْتَفِعَةٌ بَيْضَاءُ نَقِيَّةٌ قَدْرَ مَا يَسِيرُ الرَّاكِبُ فَرْسَخَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً قَبْلَ غُرُوبِ الشَّمْسِ وَالْمَغْرِبَ إِذَا غَرَبَتِ الشَّمْسُ وَالْعِشَاءَ إِذَا غَابَ الشَّفَقُ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ فَمَنْ نَامَ فَلاَ نَامَتْ عَيْنُهُ فَمَنْ نَامَ فَلاَ نَامَتْ عَيْنُهُ فَمَنْ نَامَ فَلاَ نَامَتْ عَيْنُهُ وَالصَّبْحَ وَالنُّجُومُ بَادِيَةٌ مُشْتَبِكَةٌ


বর্ণনাকারী: