মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৩১- সাহাবায়ে কিরামের রাঃ মানাকিব ও ফাযায়েল
হাদীস নং: ৬০৯২
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ -আলী ইবনু আবু ত্বালিব (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬০৯২। হযরত হুবশী ইবনে জুনাদাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আলী আমা হইতে, আর আমি আলী হইতে। আর আমার পক্ষ হইতে কেহ দায়িত্ব পালন করিতে পারিবে না, আমি অথবা আলী ব্যতীত। —তিরমিযী, আর আমদ হাদীসটি আবু জুনাদাহ হইতে বর্ণনা করিয়াছেন।
وَعَن حبشِي بن جُنَادَة قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «عَلِيٌّ مِنِّي وَأَنَا مِنْ عَلِيٍّ وَلَا يُؤَدِّي عني إِلَّا أَنا وَعلي» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَرَوَاهُ أَحْمد عَن أبي جُنَادَة
হাদীসের ব্যাখ্যা:
আল্লামা তুরে-পুশতী বলেন, হাদীসটির তাৎপর্য হইল, আরব সমাজের নিয়ম ছিল, কাহারও সহিত কোন বিষয়ে ওয়াদাবদ্ধ কিংবা চুক্তিপত্র সম্পাদন করিতে হইলে অথবা চুক্তি ভঙ্গ করিতে হইলে কওমের নেতা বা সরদার স্বয়ং তাহা সম্পাদন করিবে অথবা তাহার নিকটতম আপন খান্দানের কেহ তাহা করিতে পারিবে, নতুবা উহা গ্রহণযোগ্য হইবে না। এই রীতি অনুযায়ী নবম হিজরীতে নবী (ﷺ) হযরত আবু বকর (রাঃ)-কে “আমীরুল হাজ্জ” নিযুক্ত করিয়া পাঠাইলেও সূরা বারাআতে উল্লিখিত চুক্তির বিষয়সমূহ ঘোষণা দেওয়ার জন্য পরক্ষণে হযরত আলীকে পাঠাইয়া দেওয়া হয়।
