মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৯০২
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ - মু'জিযার বর্ণনা
৫৯০২। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময় একবার লোকেরা দুর্ভিক্ষ কবলিত হইল। এমতাবস্থায় একদা নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুমুআর দিন খুৎবা দিতেছিলেন। তখন এক বেদুইন দাঁড়াইয়া বলিল, হে আল্লাহর রাসুল। (বৃষ্টির অভাবে) ধন-সম্পদ ধ্বংস হইয়া যাইতেছে। পরিবার-পরিজন অনাহারে থাকিতেছে। তাই আমাদের জন্য আল্লাহর কাছে দোআ করুন। তখনই তিনি (দো'আর জন্য) দুই হাত উঠাইলেন, অথচ সেই সময় আকাশে কোন মেঘের টুকরা আমরা দেখিতে পাই নাই। ঐ সত্তার কসম করিয়া বলিতেছি, যাহার হাতে আমার প্রাণ। তিনি এখনও হাত নামান নাই, হঠাৎ পাহাড়ের মত মেঘমালা ছুটিয়া আসিল। অতঃপর তিনি তখনও মিম্বর হইতে নামেন নাই, আমি দেখিতে পাইলাম তাহার দাড়ির উপর বৃষ্টির ফোঁটা পড়া শুরু হইয়াছে। বর্ণনাকারী বলেন, সেইদিন, তার পরের দিন, তার পরবর্তী দিন, এমন কি পরবর্তী জুমুআ পর্যন্ত একনাগাড়ে আমাদের উপর বর্ষণ হইতে থাকিল। অতঃপর উক্ত বেদুইন কিংবা অন্য এক ব্যক্তি দাঁড়াইয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। ঘরগুলি ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে, মাল-সম্পদসমূহ ডুবিয়া গিয়াছে। সুতরাং আল্লাহর কাছে আমাদের জন্য দোআ করুন (যেন বৃষ্টি বন্ধ হইয়া যায়)। তখন তিনি হস্তদ্বয় উঠাইয়া বলিলেন, হে আল্লাহ্ আমাদের উপর নহে; বরং আমাদের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বর্ষণ করুন। এই বলিয়া তিনি হাত দ্বারা আকাশের যে দিকে ইশারা করিলেন সঙ্গে সঙ্গেই সেই দিকের মেঘ কাটিয়া গেল এবং অল্পক্ষণের মধ্যে সমগ্র মদীনা কুণ্ডলীর ন্যায় একটি মেঘ-শূন্য স্থানে পরিণত হইল। আর উপত্যকার নালাসমূহ একাধারে এক মাস যাবৎ প্রবাহিত থাকিল। বর্ণনাকারী: বলেন, তখন যেই দিক হইতে যেই লোকই আসিত, সে এই অত্যধিক বৃষ্টি বর্ষণের কথাই আলোচনা করিত।
অপর এক বর্ণনায় আছে আল্লাহর রাসূল তখন দোআ করিতে করিতে বলিলেন, হে আল্লাহ্! আমাদের উপর নয়; বরং আমাদের আশপাশে। হে আল্লাহ্। টিলার উপরে, পাহাড়ের গায়ে, উপত্যকা এলাকায় এবং বৃক্ষের পাদদেশে বর্ষণ করুন। বর্ণনাকারী বলেন, ফলে বৃষ্টি বন্ধ হইয়া গেল এবং আমরা রৌদ্রের মধ্যে (মসজিদ হইতে) ফিরিয়া গেলাম। মোত্তাঃ
অপর এক বর্ণনায় আছে আল্লাহর রাসূল তখন দোআ করিতে করিতে বলিলেন, হে আল্লাহ্! আমাদের উপর নয়; বরং আমাদের আশপাশে। হে আল্লাহ্। টিলার উপরে, পাহাড়ের গায়ে, উপত্যকা এলাকায় এবং বৃক্ষের পাদদেশে বর্ষণ করুন। বর্ণনাকারী বলেন, ফলে বৃষ্টি বন্ধ হইয়া গেল এবং আমরা রৌদ্রের মধ্যে (মসজিদ হইতে) ফিরিয়া গেলাম। মোত্তাঃ
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَن أنسٍ قَالَ أَصَابَت النَّاس سنَةٌ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَبَيْنَا النَّبِيُّ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم يخْطب فِي يَوْم جُمُعَة قَامَ أَعْرَابِيٌّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلَكَ الْمَالُ وَجَاعَ الْعِيَالُ فَادْعُ اللَّهَ لَنَا فَرَفَعَ يَدَيْهِ وَمَا نَرَى فِي السَّمَاءِ قَزَعَةً فَوَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ مَا وَضَعَهَا حَتَّى ثَارَ السَّحَابُ أَمْثَالَ الْجِبَالِ ثُمَّ لَمْ يَنْزِلْ عَنْ مِنْبَرِهِ حَتَّى رَأَيْت الْمَطَر يتحادر على لحيته صلى الله عَلَيْهِ وَسلم فمطرنا يَوْمنَا ذَلِك وَمن الْغَد وَبعد الْغَد وَالَّذِي يَلِيهِ حَتَّى الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى وَقَامَ ذَلِكَ الْأَعْرَابِيُّ أَوْ قَالَ غَيْرُهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَهَدَّمَ الْبِنَاءُ وَغَرِقَ الْمَالُ فَادْعُ اللَّهَ لَنَا فَرَفَعَ يَدَيْهِ فَقَالَ اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا فَمَا يُشِيرُ بِيَدِهِ إِلَى نَاحِيَةٍ مِنَ السَّحَابِ إِلَّا انْفَرَجَتْ وَصَارَتِ الْمَدِينَةُ مِثْلَ الْجَوْبَةِ وَسَالَ الْوَادِي قَنَاةُ شَهْرًا وَلَمْ يَجِئْ أَحَدٌ مِنْ نَاحِيَةٍ إِلَّا حَدَّثَ بِالْجَوْدِ وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ: «اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلَا عَلَيْنَا اللَّهُمَّ عَلَى الْآكَامِ وَالظِّرَابِ وَبُطُونِ الْأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ» . قَالَ: فَأَقْلَعَتْ وَخَرَجْنَا نَمْشِي فِي الشّمسِ مُتَّفق عَلَيْهِ