মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৩০- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
হাদীস নং: ৫৮৬৬
- নবীজী সাঃ এর মর্যাদা ও শামাঈল অধ্যায়
প্রথম অনুচ্ছেদ - মিরাজের বর্ণনা
৫৮৬৬। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আমি নিজেকে কা'বাঘরের হাতীমে দণ্ডায়মান দেখিলাম। আর কোরাইশের লোকেরা আমাকে আমার মে'রাজের ঘটনাবলী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিতেছিল। তাহারা আমাকে বায়তুল মুকাদ্দাস সম্পর্কে এমন কিছু প্রশ্ন করিল, যাহা আমার স্মরণে ছিল না। ফলে আমি এমন অস্থির হইয়া পড়িলাম যে, ইহার পূর্বে অনুরূপ অস্থির আর কখনও হই নাই। তখন আল্লাহ্ তাআলা বায়তুল মুকাদ্দাসকে আমার সম্মুখে উপস্থিত করিয়া দিলেন, ফলে আমি উহার দিকে চাহিয়া রহিলাম এবং তাহারা যে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করিত, আমি উহা দেখিয়া উত্তর দিতে থাকিলাম। আর আমি (মে'রাজের রাতে) নিজেকে নবীদের এক জমাআতের মধ্যে দেখিতে পাইলাম। তখন দেখি হযরত মুসা (আঃ) দাড়াইয়া নামায পড়িতেছেন। তিনি একজন মধ্যম কদের সামান্য লম্বা, মনে হইল যেন (ইয়ামন দেশের) শানুয়া গোত্রের লোক। আর হযরত ঈসা (আঃ)-কে দাড়াইয়া নামায পড়িতে দেখিলাম। লোকদের মধ্যে উরওয়া ইবনে মাসউদ সাকাফী হইলেন তাঁহার অধিক সাদৃশ্য। আবার হযরত ইবরাহীম (আঃ)-কেও দাড়ান অবস্থায় নামায পড়িতে দেখিলাম। লোকদের মধ্যে তোমাদের সঙ্গী অর্থাৎ, হুযূর (ছাঃ) নিজেই তাহার নিকটতম সাদৃশ্য। ইত্যবসরে নামাযের সময় হইল এবং আমি নামাযে তাহাদের ইমামতি করিলাম। অতঃপর যখন আমি নামায শেষ করিলাম, তখন কেহ আমাকে বলিলেন, হে মুহাম্মাদ। ইনি হইলেন দোযখের দ্বাররক্ষী মালেক, তাঁহাকে সালাম করুন। নবী (ছাঃ) বলেন, আমি তাঁহার দিকে ফিরিয়া তাকাইতেই তিনি আমাকে আগেই সালাম দিলেন। মুসলিম
[এই অধ্যায়ে দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ নাই।]
[এই অধ্যায়ে দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ নাই।]
كتاب الفضائل والشمائل
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَقَدْ رَأَيْتُنِي فِي الْحِجْرِ وَقُرَيْشٌ تَسْأَلُنِي عَنْ مَسْرَايَ فَسَأَلَتْنِي عَنْ أَشْيَاءَ مِنْ بَيْتِ الْمَقْدِسِ لَمْ أُثْبِتْهَا فَكُرِبْتُ كَرْبًا مَا كُرِبْتُ مِثْلَهُ فَرَفَعَهُ اللَّهُ لِي أَنْظُرُ إِلَيْهِ مَا يَسْأَلُونِي عَنْ شَيْءٍ إِلَّا أَنْبَأْتُهُمْ وَقَدْ رَأَيْتُنِي فِي جَمَاعَةٍ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ فَإِذَا مُوسَى قَائِمٌ يُصَلِّي. فَإِذَا رَجُلٌ ضَرْبٌ جعد كَأَنَّهُ أَزْد شَنُوءَةَ وَإِذَا عِيسَى قَائِمٌ يُصَلِّي أَقْرَبُ النَّاسِ بِهِ شبها عروةُ بن مسعودٍ الثَّقفيُّ فإِذا إِبْرَاهِيمُ قَائِمٌ يُصَلِّي أَشْبَهُ النَّاسِ بِهِ صَاحِبُكُمْ - يَعْنِي نَفْسَهُ - فَحَانَتِ الصَّلَاةُ فَأَمَمْتُهُمْ فَلَمَّا فَرَغْتُ مِنَ الصَّلَاةِ قَالَ لِي قَائِلٌ: يَا مُحَمَّدُ هَذَا مَالِكٌ خَازِنُ النَّارِ فَسَلِّمْ عَلَيْهِ فَالْتَفَتُّ إِلَيْهِ فَبَدَأَنِي بِالسَّلَامِ . رَوَاهُ مُسْلِمٌ وَهَذَا الْبَابُ خَالٍ عَنِ: الْفَصْلِ الثَّانِي
হাদীসের ব্যাখ্যা:
فرفعه الله لى “অতঃপর আল্লাহ্ বায়তুল মুকাদ্দাস আমার সম্মুখে উপস্থিত করিলেন”। কাহারও মতে ঘরটি অবিকল তাঁহার সামনে আনা হইয়াছে। আবার কেহ কেহ বলেন, মধ্যখান হইতে হেজাব তুলিয়া দেওয়া হইয়াছিল।
নবীগণ তাঁহাদের কবরে জীবিত। আর তাঁহাদের নামায পড়া হইল আত্ম-পরিতৃপ্তি। ইহাকে 'রূহানী গেযা'ও বলা যায়।
নবীগণ তাঁহাদের কবরে জীবিত। আর তাঁহাদের নামায পড়া হইল আত্ম-পরিতৃপ্তি। ইহাকে 'রূহানী গেযা'ও বলা যায়।