আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৯৫
২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৫৩। ইসমাঈল ইবনে আব্দুল্লাহ (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে বিদায় হজ্জে (মক্কার পথে) রওয়ানা হই। তখন আমরা উমরার (নিয়তে) ইহরাম বাঁধি। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঘোষণা দিলেন, যাদের সঙ্গে কুরবানীর পশু রয়েছে, তারা যেন হজ্জ ও উমরা উভয়ের একসাথে ইহরামের নিয়ত করে এবং হজ্জ ও উমরার অনুষ্ঠানাদি সমাধা করার পূর্বে হালাল না হয়।
এভাবে তাঁর [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর] সঙ্গে আমি মক্কায় পৌঁছি এবং ঋতুবতী হয়ে পড়ি। এ কারণে আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ- এর সাফা ও মারওয়ার সা‘ঈ করতে পারলাম না। এ খবর আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে অবহিত করলাম। তখন তিনি বললেন, তুমি তোমার মাথার চুল ছেড়ে দাও এবং মাথা (চিরুনি দ্বারা) আঁচড়াও আর কেবল হজ্জের ইহরাম বাঁধ ও উমরা ছেড়ে দাও। আমি তাই করলাম।
এরপর আমরা যখন হজ্জের কাজসমূহ সম্পন্ন করলাম, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাকে আবু বকর সিদ্দীক (রাযিঃ)- এর পুত্র (আমার ভাই) আব্দুর রহমান (রাযিঃ)- এর সঙ্গে তানঈম নামক স্থানে পাঠিয়ে দিলেন। সেখান থেকে (ইহরাম বেঁধে) উমরা আদায় করলাম। তখন তিনি [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)] বললেন, এই উমরা তোমার পূর্বের কাযা উমরার পরিপূরক হল। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন তারা বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করে এবং সাফা ও মারওয়া সা‘ঈ করার পর হালাল হয়ে যান এবং পরে মিনা থেকে প্রত্যাবর্তন করার পর আর এক তাওয়াফ আদায় করেন। আর যাঁরা হজ্জ ও উমরার ইহরাম এক সাথে বাঁধেন (হজ্জে কিরানে), তাঁরা কেবল এক তাওয়াফ আদায় করেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন