আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩৮৫
২২৩৮. আশ‘আরী ও ইয়ামানবাসীদের আগমন।
৪০৪৩। আবু নুআইম (রাহঃ) .... যাহদাম (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবু মুসা (রাযিঃ) এ এলাকায় এসে জারম গোত্রের লোকদেরকে মর্যাদাবান করেছেন। একদা আমরা তাঁর কাছে বসা ছিলাম। এ সময়ে তিনি মুরগীর গোশত দিয়ে দুপুরের খানা খাচ্ছিলেন। উপস্থিতদের মধ্যে এক ব্যক্তি বসা ছিল। তিনি তাকে খানা খেতে ডাকলেন। সে বলল, আমি মুরগীকে একটি (খারাপ) জিনিস খেতে দেখেছি। এ জন্য খেতে আমার অরুচি লাগছে। তিনি বললেন, এসো। কেননা আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে মুরগী খেতে দেখেছি। সে বলল, আমি শপথ করে ফেলেছি যে, এটি খাবো না। তিনি বললেন, এসে পড়। তোমার শপথ সম্বন্ধে আমি তোমাকে জানাচ্ছি যে, আমরা আশ‘আরীদের একটি দল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকটে এসে তাঁর কাছে সওয়ারী চেয়েছিলাম। তিনি আমাদেরকে সওয়ারী দিতে অস্বীকার করলেন। এরপর আমরা (পূনরায়) তাঁর [রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর] কাছে সওয়ারী চাইলাম।
তিনি তখন শপথ করে ফেললেন যে, আমাদেরকে তিনি সওয়ারী দেবেন না। কিছুক্ষণ পরেই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে গনীমতের কিছু উট আনা হল। তিনি আমাদেরকে পাঁচটি করে উট দেয়ার আদেশ দিলেন। উটগুলো হাতে নেয়ার পর আমরা পরস্পর বললাম, আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে তাঁর শপথ থেকে অমনোযোগী করে ফেলছি (এবং উট নিয়ে যাচ্ছি) এমন অবস্থায় কখনো আমরা কামিয়াব হতে পারবো না। কাজেই আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে এসে বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি শপথ করেছিলেন যে, আমাদের সওয়ারী দেবেন না। এখনতো আপনি আমাদের সওয়ারী দিলেন। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই। তবে আমার নিয়ম হল, আমি যদি কোন ব্যাপারে শপথ করি আর এর বিপরীত কোনটিকে এ অপেক্ষা উত্তম মনে করি তাহলে (শপথকৃত ব্যাপার ত্যাগ করি) উত্তমটিকেই গ্রহণ করে নেই।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন