আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

ওহীর সূচনা অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং:
১. রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর প্রতি কিভাবে ওহী শুরু হয়েছিল
৪। মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) ......... ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, মহান আল্লাহর বাণীঃ তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করার জন্য আপনার জিহ্বা তার সাথে নাড়বেন না (৭৫:১৬) এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ওহী নাযিলের সময় তা আয়ত্ত করতে বেশ কষ্ট স্বীকার করতেন এবং প্রায়ই তিনি তাঁর উভয় ঠোঁট নাড়তেন। ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি তোমাকে দেখানোর জন্য ঠোঁট দুটি নাড়ছি যেভাবে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা নাড়তেন।
সাঈদ (রাহঃ) (তাঁর শাগরিদদের) বললেন, আমি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)-কে যেভাবে তাঁর ঠোঁট দুটি নাড়তে দেখেছি, সেভাবেই আমার ঠোঁট দুটি নাড়াচ্ছি। এই বলে তিনি তাঁর ঠোঁট দুটি নাড়লেন। এই অবস্থা সম্পর্কে আল্লাহ্ তাআলা নাযিল করলেন তাড়াতাড়ি ওহী আয়ত্ত করার জন্য আপনি আপনার জিহবা তার সাথে নাড়বেন না। এর সংরক্ষণ ও পাঠ করানোর দায়িত্ব আমারই। (৭৫:১৬-১৮) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন এর অর্থ হলঃ আপনার অন্তরে তা সংরক্ষণ করা এবং আপনার দ্বারা তা পাঠ করানো। সুতরাং যখন আমি তা পাঠ করি আপনি সে পাঠের অনুসরণ করুন (৭৫:১৯) ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেন অর্থাৎ মনোযোগ সহকারে শুনুন এবং চুপ থাকুন। এরপর এর বিশদ ব্যাখ্যার দায়িত্ব আমারই (৭৫:১৯)। অর্থাৎ আপনি তা পাঠ করবেন এটাও আমার দায়িত্ব। তারপর যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর কাছে জিবরাঈল আসতেন, তখন তিনি মনোযোগ সহকারে কেবল শুনতেন। জিবরাঈল চলে গেলে তিনি যেমন পড়েছিলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও ঠিক তেমনি পড়তেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন