মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৫০০৬
১৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - আল্লাহ তাআলার প্রতি ভালোবাসা এবং আল্লাহ তাআলার জন্য বান্দার প্রতি ভালোবাসা
৫০০৬। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা'আলা বলিবেনঃ আমার সুমহান ইজ্জতের খাতিরে যাহারা পরস্পরে ভালবাসা স্থাপন করিয়াছে তাহারা কোথায়? আজ আমি তাহাদিগকে আমার বিশেষ ছায়ায় স্থান দিব। আজ এমন দিন, আমার ছায়া ব্যতীত আর কোন ছায়া নাই। —মুসলিম
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: أَيْنَ الْمُتَحَابُّونَ بِجَلَالِي؟ الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلِّي . رَوَاهُ مُسْلِمٌ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যারা আল্লাহ তাআলার জন্য একে অন্যকে ভালোবাসত, হাশরের ময়দানে তাদের অবস্থান কোথায় এবং কার কী অবস্থা তা সবই আল্লাহ তাআলার ভালোভাবেই জানা থাকবে। তা সত্ত্বেও ‘তারা কোথায়' এ প্রশ্ন করার উদ্দেশ্য হাশরের ময়দানে উপস্থিত লোকজনের সামনে তাদের মর্যাদা তুলে ধরা।
আল্লাহর গৌরব-মহিমার কারণে একে অন্যকে ভালোবাসার অর্থ সে ভালোবাসায় পার্থিব কোনও স্বার্থ না থাকা; বরং কেবলই আল্লাহ তাআলার জন্য ও তাঁরই সন্তুষ্টিলাভের জন্য ভালোবাসা।
গৌরব-মহিমার কথা উল্লেখ দ্বারা বোঝানো উদ্দেশ্য তাদের অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভয়-ভীতি, তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহিমা জাগ্রত আছে। আর সে কারণে তাদের বিশ্বাস আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি কামনা ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসা যায় না। কাউকে ভালোবাসতে চাইলে কেবল তাঁর জন্যই ভালোবাসা যায়। কাউকে ভালোবাসলে সে ক্ষেত্রেও ভালোবাসার সীমা রক্ষা জরুরি, যাতে আল্লাহ তাআলার কোনও হক নষ্ট না হয়। অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকলে সে সীমা রক্ষা করা সহজ হয়। ফলে ভালোবাসার দাবি আদায়ের পাশাপাশি আল্লাহ তাআলার হকসমূহ যথাসাধ্য আদায় করা হয়। বান্দার ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলার হকসমূহ উপেক্ষিত থেকে যায় না। পারস্পরিক যে মহব্বত ও ভালোবাসা আল্লাহ তাআলার জন্য হয় না এবং সে মহব্বতের সঙ্গে অন্তরে তাঁর ভয়-ভীতি সক্রিয় থাকে না, সে ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার নাফরমানি হয়ে যায়, নানাভাবে শরীআতের বরখেলাফ হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলার ছায়া মানে তাঁর রহমতের ছায়া বা তাঁর আরশের ছায়া। যারা পরস্পরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে, হাশরের ময়দানে তারা এ ছায়া লাভ করবে।
উল্লেখ্য, এটি একটি 'হাদীছে কুদসী'। এর ভাব আল্লাহ তাআলার, ভাষা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের। তবে তিনি এটি ব্যক্ত করেছেন আল্লাহ তাআলার জবানিতে। এরকম হাদীছকেই হাদীছে কুদসী বলে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব ও তাঁর মহত্ব অন্তরে জাগ্রত রেখে তাঁরই জন্য পরস্পরকে ভালোবাসা উচ্চতর একটি নেক আমল।
খ. যারা আল্লাহ তাআলার জন্য একে অন্যকে ভালোবাসে, হাশরের ময়দানে সমস্ত মাখলুকের সামনে তাদের মর্যাদা প্রকাশ করা হবে।
গ. হাশরের ময়দানে আল্লাহর রহমত ও তাঁর আরশের ছায়ালাভের আশায় পার্থিব কোনও স্বার্থ ছাড়া কেবল তাঁরই উদ্দেশ্যে একে অন্যকে মহব্বত করা চাই।
আল্লাহর গৌরব-মহিমার কারণে একে অন্যকে ভালোবাসার অর্থ সে ভালোবাসায় পার্থিব কোনও স্বার্থ না থাকা; বরং কেবলই আল্লাহ তাআলার জন্য ও তাঁরই সন্তুষ্টিলাভের জন্য ভালোবাসা।
গৌরব-মহিমার কথা উল্লেখ দ্বারা বোঝানো উদ্দেশ্য তাদের অন্তরে আল্লাহ তাআলার ভয়-ভীতি, তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহিমা জাগ্রত আছে। আর সে কারণে তাদের বিশ্বাস আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি কামনা ছাড়া অন্য কোনও উদ্দেশ্যে কাউকে ভালোবাসা যায় না। কাউকে ভালোবাসতে চাইলে কেবল তাঁর জন্যই ভালোবাসা যায়। কাউকে ভালোবাসলে সে ক্ষেত্রেও ভালোবাসার সীমা রক্ষা জরুরি, যাতে আল্লাহ তাআলার কোনও হক নষ্ট না হয়। অন্তরে আল্লাহর ভয় থাকলে সে সীমা রক্ষা করা সহজ হয়। ফলে ভালোবাসার দাবি আদায়ের পাশাপাশি আল্লাহ তাআলার হকসমূহ যথাসাধ্য আদায় করা হয়। বান্দার ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে আল্লাহ তাআলার হকসমূহ উপেক্ষিত থেকে যায় না। পারস্পরিক যে মহব্বত ও ভালোবাসা আল্লাহ তাআলার জন্য হয় না এবং সে মহব্বতের সঙ্গে অন্তরে তাঁর ভয়-ভীতি সক্রিয় থাকে না, সে ক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলার নাফরমানি হয়ে যায়, নানাভাবে শরীআতের বরখেলাফ হয়ে যায়।
আল্লাহ তাআলার ছায়া মানে তাঁর রহমতের ছায়া বা তাঁর আরশের ছায়া। যারা পরস্পরকে আল্লাহর জন্য ভালোবাসে, হাশরের ময়দানে তারা এ ছায়া লাভ করবে।
উল্লেখ্য, এটি একটি 'হাদীছে কুদসী'। এর ভাব আল্লাহ তাআলার, ভাষা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের। তবে তিনি এটি ব্যক্ত করেছেন আল্লাহ তাআলার জবানিতে। এরকম হাদীছকেই হাদীছে কুদসী বলে।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. আল্লাহ তাআলার বড়ত্ব ও তাঁর মহত্ব অন্তরে জাগ্রত রেখে তাঁরই জন্য পরস্পরকে ভালোবাসা উচ্চতর একটি নেক আমল।
খ. যারা আল্লাহ তাআলার জন্য একে অন্যকে ভালোবাসে, হাশরের ময়দানে সমস্ত মাখলুকের সামনে তাদের মর্যাদা প্রকাশ করা হবে।
গ. হাশরের ময়দানে আল্লাহর রহমত ও তাঁর আরশের ছায়ালাভের আশায় পার্থিব কোনও স্বার্থ ছাড়া কেবল তাঁরই উদ্দেশ্যে একে অন্যকে মহব্বত করা চাই।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
