মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়

হাদীস নং: ৪৯৩৯
১৪. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯৩৯। মু'য়াবিয়া ইবনে জাহিমাহ্ (রঃ) হইতে বর্ণিত, একদা আমার পিতা জাহিমাহ্ নবী (ﷺ)-এর খেদমতে আসিয়া বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমি জিহাদে অংশগ্রহণ করিতে ইচ্ছা করিয়াছি। অতএব এই ব্যাপারে আমি আপনার সাথে পরামর্শ করিতে আসিয়াছি। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার মা জীবিত আছেন কি? সে বলিল হ্যাঁ আছেন। তিনি বলিলেনঃ যাও, মায়ের খেদমতে নিজেকে নিয়োগ কর। কেননা, জান্নাত তাহার পায়ের কাছে। —আহমদ, নাসায়ী ও বায়হাকী
وَعَن معاويةَ بن جاهِمةُ أَنَّ جَاهِمَةَ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَرَدْتُ أَنْ أَغْزُوَ وَقَدْ جِئْتُ أَسْتَشِيرُكَ. فَقَالَ: «هَلْ لَكَ مِنْ أُمٍّ؟» قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: «فَالْزَمْهَا فَإِنَّ الْجَنَّةَ عِنْدَ رِجْلِهَا» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالنَّسَائِيُّ وَالْبَيْهَقِيّ فِي «شعب الْإِيمَان»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীসটির তাৎপর্য হইল, সাধারণতঃ জিহাদ হইল ফরযে কেফায়া, আর মায়ের সেবা-যত্ন করা সন্তানের উপর ফরযে আইন অথবা লোকটি এই ব্যাপারে অধিক উদাসীন ছিল, অথচ তাহার মা ছিল এই সন্তানের সেবা-যত্নের মুখাপেক্ষী। তাই ইহাকে প্রাধান্য দেওয়া হইয়াছে। ‘সন্তানের বেহেশত মায়ের পায়ের নিকটে', এই বাক্যে রহিয়াছে একদিকে মায়ের মর্যাদা এবং অপরদিকে সর্বাধিক গুরুত্ব।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৪৯৩৯ | মুসলিম বাংলা