মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৯২১
১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - অনুগ্রহ ও স্বজনে সদাচার
৪৯২১। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন 'রেহম' আল্লাহর আরশের সাথে ঝুলন্ত রহিয়াছে এবং উহা বলে, যে আমাকে নিজের সাথে মিলাইবে আল্লাহও তাহাকে মিলাইবেন। আর যে আমাকে ছিন্ন করিবে আল্লাহও তাহাকে ছিন্ন করিবেন। — মোত্তাঃ
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الرَّحِمُ مُعَلَّقَةٌ بِالْعَرْشِ تَقُولُ: مَنْ وَصَلَنِي وَصَلَهُ اللَّهُ وَمَنْ قَطَعَنِي قَطَعَهُ الله . مُتَّفق عَلَيْهِ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীছে আত্মীয়তা সম্পর্কে জানানো হয়েছে যে, তা আরশের সঙ্গে ঝুলে আছে এবং সে বলে, যে ব্যক্তি আত্মীয়তা রক্ষা করবে, আল্লাহ তাআলা নিজের সঙ্গে তার সম্পর্ক রক্ষা করবেন। আর যে ব্যক্তি আত্মীয়তা ছিন্ন করবে, আল্লাহ তাআলা তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবেন। প্রশ্ন হয়, আত্মীয়তা তো এক বিমূর্ত বিষয়, এটা একটা আপেক্ষিক অবস্থা ও সম্পর্কের নাম, এর পক্ষে কী করে আরশের সঙ্গে ঝুলে থাকা ও কথা বলা সম্ভব? উলামায়ে কেরাম এর বিভিন্ন উত্তর দিয়েছেন।
এর এক উত্তর তো এই যে, হয়তো আল্লাহ তাআলা আত্মীয়তাকে একটা আকৃতি দান করেছেন এবং সেই আকৃতিকে বাকশক্তিও দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলার কুদরত ও ক্ষমতা অসীম। তিনি চাইলে এরূপ করতেই পারেন। তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই।
কারও মতে এই ঝুলে থাকা ও কথা বলার বিষয়টি রূপক। এর দ্বারা আত্মীয়তাকে বাকশক্তিসম্পন্ন কোনও মাখলূকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এটা অলংকার শাস্ত্রের একটা নিয়ম। সব ভাষাতেই এর ব্যাপক ব্যবহার আছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য আত্মীয়তার মর্যাদা ও তা রক্ষা করার গুরুত্বের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা। বোঝানো হচ্ছে যে, আত্মীয়তা এমন মর্যাদাপূর্ণ একটি বিষয় এবং তা ছিন্ন করা এমনই বেদনাদায়ক যে আত্মীয়তার যদি শরীর ও বাকশক্তি থাকত, তবে সে আরশের সঙ্গে ঝুলে থেকে মানুষকে এ সম্পর্ক রক্ষা করতে উৎসাহ দিত এবং কেউ যাতে কিছুতেই তা ছিন্ন না করে, সে ব্যাপারে সতর্ক করত।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে আত্মীয়তা রক্ষা করা। এটা আল্লাহ তাআলার সঙ্গে নিজ সম্পর্ক অটুট রাখার একটি উপায়।
খ. আত্মীয়তা ছিন্ন করা অতি বিপজ্জনক কাজ। কেননা এর পরিণামে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
এর এক উত্তর তো এই যে, হয়তো আল্লাহ তাআলা আত্মীয়তাকে একটা আকৃতি দান করেছেন এবং সেই আকৃতিকে বাকশক্তিও দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলার কুদরত ও ক্ষমতা অসীম। তিনি চাইলে এরূপ করতেই পারেন। তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই।
কারও মতে এই ঝুলে থাকা ও কথা বলার বিষয়টি রূপক। এর দ্বারা আত্মীয়তাকে বাকশক্তিসম্পন্ন কোনও মাখলূকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এটা অলংকার শাস্ত্রের একটা নিয়ম। সব ভাষাতেই এর ব্যাপক ব্যবহার আছে। এর দ্বারা উদ্দেশ্য আত্মীয়তার মর্যাদা ও তা রক্ষা করার গুরুত্বের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা। বোঝানো হচ্ছে যে, আত্মীয়তা এমন মর্যাদাপূর্ণ একটি বিষয় এবং তা ছিন্ন করা এমনই বেদনাদায়ক যে আত্মীয়তার যদি শরীর ও বাকশক্তি থাকত, তবে সে আরশের সঙ্গে ঝুলে থেকে মানুষকে এ সম্পর্ক রক্ষা করতে উৎসাহ দিত এবং কেউ যাতে কিছুতেই তা ছিন্ন না করে, সে ব্যাপারে সতর্ক করত।
হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ
ক. প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে আত্মীয়তা রক্ষা করা। এটা আল্লাহ তাআলার সঙ্গে নিজ সম্পর্ক অটুট রাখার একটি উপায়।
খ. আত্মীয়তা ছিন্ন করা অতি বিপজ্জনক কাজ। কেননা এর পরিণামে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
