আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৩৯৮৩
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩১৭
২২১৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং হুনায়নের যুদ্ধের দিন যখন তোমাদেরকে (মুসলমানদিগকে) উৎফুল্ল করেছিল তোমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা, কিন্তু তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি এবং বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবী তোমাদের জন্য সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল শেষে তোমরা পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিলে। এরপর আল্লাহ তার কাছ থেকে তার রাসুল ও মু’মিনের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং (তাদের সাহায্যার্থে) এমন এক সৈন্যবেহিনী নাযিল করেন যাদেরকে তোমরা দেখতে পাওনি এবং তিনি তাদের দ্বারা কাফেরদিগকে শাস্তি প্রদান করেছেন। এটাই কাফিরদের কর্মফল। এরপরও (মু’মিনদের মধ্যে) যার প্রতি তিনি ইচ্ছা করবেন তার ক্ষেত্রে তিনি ক্ষমাপরায়ণও হতে পারেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৯ঃ ২৫-২৭)
৩৯৮৩। মুহাম্মাদ ইবনে বাশশার (রাহঃ) .... আবু ইসহাক (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বারা (রাযিঃ)- কে বলতে শুনেছেন যে, তাঁকে কায়স গোত্রের জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করেছিল যে, হুনায়ন যুদ্ধের দিন আপনারা কি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছ থেকে পালিয়েছিলেন? তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালান নি। তবে হাওয়াযিন গোত্রের লোকেরা ছিল সুদক্ষ তীরন্দাজ। আমরা যখন তাদের উপর আক্রমণ চালালাম তখন তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাতে আরম্ভ করে। আমরা গনীমত তুলতে শুরু করলাম ঠিক সেই মুহূর্তে আমরা (অতর্কিতভাবে) তাদের তীরন্দাজ বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হলাম। তখন আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে তাঁর সাদা রংয়ের খচ্চরটির পিঠে আরোহণ অবস্থায় দেখেছি। আর আবু সুফিয়ান (রাযিঃ) তাঁর খচ্চরের লাগাম ধরেছিলেন, তিনি বলছিলেন, আমি আল্লাহর নবী এতে কোন মিথ্যা নেই। বর্ণনাকারী ইসরাঈল এবং যুহাইর (রাহঃ) বলেছেন যে, তখন নবী কারীম (ﷺ) তাঁর খচ্চরটির (পিঠ থেকে) নীচে অবতরণ করেছিলেন।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَيَوْمَ حُنَيْنٍ إِذْ أَعْجَبَتْكُمْ كَثْرَتُكُمْ فَلَمْ تُغْنِ عَنْكُمْ شَيْئًا وَضَاقَتْ عَلَيْكُمُ الأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ ثُمَّ وَلَّيْتُمْ مُدْبِرِينَ ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ} إِلَى قَوْلِهِ: {غَفُورٌ رَحِيمٌ
4317 - حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعَ البَرَاءَ، وَسَأَلَهُ رَجُلٌ مِنْ قَيْسٍ أَفَرَرْتُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ حُنَيْنٍ؟ فَقَالَ: لَكِنْ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَفِرَّ، كَانَتْ هَوَازِنُ رُمَاةً، وَإِنَّا لَمَّا حَمَلْنَا عَلَيْهِمْ انْكَشَفُوا، فَأَكْبَبْنَا عَلَى الغَنَائِمِ، فَاسْتُقْبِلْنَا بِالسِّهَامِ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى بَغْلَتِهِ البَيْضَاءِ، وَإِنَّ أَبَا سُفْيَانَ بْنَ الحَارِثِ آخِذٌ بِزِمَامِهَا، وَهُوَ يَقُولُ: «أَنَا النَّبِيُّ لاَ كَذِبْ» قَالَ إِسْرَائِيلُ، وَزُهَيْرٌ: «نَزَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ بَغْلَتِهِ»
