মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৮২৩
১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে
৪৮২৩। হযরত হোযাইফা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলিতে শুনিয়াছি চোগলখোর (পরোক্ষে নিন্দাকারী) বেহেশতে প্রবেশ করিবে না। —মোত্তাঃ। অবশ্য মুসলিমের অপর এক বর্ণনায় قَتَّاتٌ কাত্তাতুন'-এর পরিবর্তে نَمَّامٌ 'নাম্মামুন' শব্দ রহিয়াছে।
وَعَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَتَّاتٌ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ. وَفِي رِوَايَةِ مُسْلِمٍ: «نَمَّامٌ»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
যে ব্যক্তি লোকজনের মধ্যে থাকিয়া তাহাদের কথাবার্তা শুনে এবং যে কথার দ্বারা তাহাদের ক্ষতিসাধন হইতে পারে তাহা অপরের কাছে পৌঁছায়, এই ব্যক্তিকে বলা হয় 'কাত্তাত'। আর যে ব্যক্তি আড়ালে থাকিয়া তাহাদের কথা শুনে এবং যাহার কাছে প্রকাশ করিলে তাহাদের ক্ষতি হইতে পারে সেখানে তাহা প্রকাশ করে তাহাকে বলা হয় ‘নাম্নাম'। উভয়টির সংজ্ঞায় প্রভেদ থাকিলেও পরিণামে ক্ষতিসাধনে একই পর্যায়ের কূটনামী বা চোগলখোরী। ইহাতে সমাজে বিশৃংখলা ও অশান্তি ঘটে। ইহা কবীরা গুনাহ্। ইহারা শাস্তি ভোগ না করিয়া বেহেশতে প্রবেশ করিতে পারিবে না।
