আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ

হাদীস নং: ৩৯৭২
আন্তর্জাতিক নং: ৪৩০৩
২২১৭.লাঈস [ইবনে সা‘দ (রাহঃ)] বলেছেন, ইউনুস আমার কাছে ইবনে শিহাব থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাবা ইবনে সুআইব (রাযিঃ) আমাকে (হাদীসটি) বর্ণনা করেছেন, আর মক্কা বিজয়ের বছর নবী কারীম (ﷺ) তার মুখমণ্ডল মাসাহ করে দিয়েছিলেন।*
*লায়স ইবন সা‘দের উপরোক্ত সনদের মাধ্যমে এখানে কোন হাদীস বর্ণনা করা উদ্দেশ্য নয়, কেবল এ কথা প্রমাণ করাই উদ্দেশ্য যে, এ সনদ থেকে বোঝা যায়, আবদুল্লাহ্ ইবন সালাবা নবী কারীম (ﷺ)-এর সুহবত লাভ করেছেন এবং মক্কা বিজয়ের সময় তিনি নবী কারীম (ﷺ)-এর সাথে ছিলেন।
৩৯৭২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসলামা (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) সূত্রে নবী কারীম (ﷺ) থেকে বর্ণিত, অন্য সনদে লায়েস (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উতবা ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ) তার ভাই সা‘দ [ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রাযিঃ)]- কে ওয়াসিয়াত করে গিয়েছিল যে, সে যেন যামআর বাঁদীর সন্তানটি তাঁর নিজের কাছে নিয়ে নেয়। উতবা বলেছিল, পুত্রটি আমার ঔরসজাত। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন মক্কা বিজয়কালে সেখানে আগমন করলেন (সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাসও তাঁর সাথে মক্কায় আসেন। সুযোগ পেয়ে) তখন তিনি যামআর বাঁদীর সন্তানটি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে উপস্থিত করলেন। তাঁর সাথে আবদ ইবনে যামআ (যামআর পুত্র)ও আসলেন।
সা‘দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস দাবি উত্থাপন করে বললেন, সন্তানটি তো আমার ভাতিজা। আমার ভাই আমাকে বলে গিয়েছেন যে, এ সন্তান তার ঔরসজাত কিন্তু আব্দ ইবনে যামআ তার দাবি পেশ করে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! এ আমার ভাই, এ যামআর সন্তান, তাঁর বিছানায় এর জম্ম হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তখন যামআর ক্রীতদাসীর সন্তানের প্রতি নযর দিয়ে দেখলেন যে, সন্তানটি দৈহিক আকৃতিগত দিক থেকে উতবা ইবনে আবু ওয়াক্কাসের সাথেই বেশী সা’দৃশ্যপূর্ণ।
তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হে আব্দ ইবনে যামআ! সন্তানটি তুমি নিয়ে যাও। সে তোমার ভাই। কেননা সে তার (তোমার পিতা যামআর) বিছানায় জম্মগ্রহণ করেছে। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ঐ সন্তানটির দৈহিক আকৃতি উতবা ইবনে আবী ওয়াক্কাসের আকৃতির সাদৃশ্য দেখার কারণে (তাঁর স্ত্রী) সাওদা বিনতে যামআ (রাযিঃ)-কে বললেন, হে সাওদা! তুমি তার (বিতর্কিত সন্তানটির) থেকে পর্দা করবে। ইবনে শিহাব যুহরী (রাহঃ) বলেন, আয়েশা (রাযিঃ) বলেছেন যে, এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, সন্তানের (আইনগত) পিতৃত্ব স্বামীর। আর ব্যভিচারীর জন্য রয়েছে পাথর। ইবনে শিহাব যুহরী (রাহঃ) বলেছেন, আবু হুরায়রা (রাযিঃ)- এর নিয়ম ছিল যে তিনি এ কথাটি উচ্চস্বরে বলতেন।
باب: وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ صُعَيْرٍ، وَكَانَ النَّبِيُّ، صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ مَسَحَ وَجْهَهُ عَامَ الْفَتْحِ
4303 - حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ اللَّيْثُ: حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنْ ابْنِ شِهَابٍ، أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ عُتْبَةُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ عَهِدَ إِلَى أَخِيهِ سَعْدٍ: أَنْ يَقْبِضَ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ، وَقَالَ عُتْبَةُ: إِنَّهُ ابْنِي، فَلَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَكَّةَ فِي الفَتْحِ، أَخَذَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ ابْنَ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ، فَأَقْبَلَ بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَأَقْبَلَ مَعَهُ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ، فَقَالَ سَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ: هَذَا ابْنُ أَخِي عَهِدَ إِلَيَّ أَنَّهُ ابْنُهُ، قَالَ عَبْدُ بْنُ زَمْعَةَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا أَخِي هَذَا ابْنُ زَمْعَةَ وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ، فَنَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى ابْنِ وَلِيدَةِ زَمْعَةَ، فَإِذَا أَشْبَهُ النَّاسِ بِعُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هُوَ لَكَ هُوَ أَخُوكَ يَا عَبْدُ بْنَ زَمْعَةَ» مِنْ أَجْلِ أَنَّهُ وُلِدَ عَلَى فِرَاشِهِ، وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «احْتَجِبِي مِنْهُ يَا سَوْدَةُ» لِمَا رَأَى مِنْ شَبَهِ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ: قَالَتْ عَائِشَةُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الوَلَدُ لِلْفِرَاشِ وَلِلْعَاهِرِ الحَجَرُ» وَقَالَ ابْنُ شِهَابٍ: وَكَانَ أَبُو هُرَيْرَةَ يَصِيحُ بِذَلِكَ
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৩৯৭২ | মুসলিম বাংলা