মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৬- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৪৭৬৮
- আদাব - শিষ্টাচার অধ্যায়
৮. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নাম রাখা
৪৭৬৮। হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন তোমাদিগকে তোমাদের নাম এবং পিতার নাম ধরিয়া ডাকা হইবে। সুতরাং তোমরা নিজের ভাল নাম রাখিবে। —আমদ ও আবু দাউদ
كتاب الآداب
وَعَنْ
أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ فَأَحْسِنُوا أسمائكم» رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
أَبِي الدَّرْدَاءِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «تُدْعَوْنَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِأَسْمَائِكُمْ وَأَسْمَاءِ آبَائِكُمْ فَأَحْسِنُوا أسمائكم» رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد
হাদীসের ব্যাখ্যা:
কোন কোন হাদীসে বর্ণিত আছে, মাতার নাম ধরিয়া লোকদেরে ডাকা হইবে। অধিকাংশের মতে পিতার নামে ডাকা হইবে, এই বর্ণনাটিই অধিক নির্ভরযোগ্য। তবে হযরত ঈসা (আঃ) মাতার নামে আহূত হইবেন। অনেকের মতে জারজ সন্তানকেও তাহার মাতার নামে ডাকা হইবে, যাহাতে মানুষের সম্মুখে অপমান হইতে না হয় এবং তাহার প্রকৃত অবস্থা মানুষের কাছে প্রকাশ না পায়। মূলতঃ সন্তানের কোন দোষ নাই।