মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২৩- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা
হাদীস নং: ৪৪৭১
- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা
৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো
৪৪৭১। হযরত সওবান (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর (ইহাই) সাধারণ নিয়ম ছিল যে, যখন তিনি কোন সফরে বাহির হইতেন, তখন ঘরের সকলের নিকট হইতে বিদায় হইয়া সর্বশেষ বিদায় লইতেন হযরত ফাতেমা (রাঃ) হইতে। আর যখন তিনি ফিরিয়া আসিতেন, তখন সর্বপ্রথম সাক্ষাৎ করিতেন ফাতেমার সাথে। যথারীতি একবার তিনি এক অভিযান হইতে আগমন করিলেন এবং ফাতেমার ঘরের দিকে অগ্রসর হইয়া দেখিলেন, একখানা চট অথবা পর্দা তাঁহার ঘরের দরজায় ঝুলানো রহিয়াছে। আর হাসান ও হুসাইন তাঁহাদের উভয়ের হাতে পরিহিত রহিয়াছে দুইখানা রূপার বালা। ইহা দেখিয়া নবী (ﷺ) ঘরের দরজা পর্যন্ত আসিলেন বটে, কিন্তু ঘরের ভিতরে প্রবেশ করিলেন না। ফলে হযরত ফাতেমা বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, এইগুলি দেখার কারণে হুযূর (ﷺ) গৃহে প্রবেশ করেন নাই। অতঃপর হযরত ফাতেমা পর্দাখানা ছিঁড়িয়া ফেলিলেন এবং বালকদ্বয়ের হাত হইতে বালা দুইখানি খুলিয়া নিলেন এবং ভাঙ্গিয়া ফেলিলেন। বালকদ্বয় ভাঙ্গা বালা দুইটি লইয়া কাঁদিতে কাঁদিতে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর নিকট চলিয়া গেল। তখন হুযূর (ﷺ) বালা দুইটি তাঁহাদের হাত হইতে নিয়া নিলেন এবং বলিলেনঃ হে সওবান। এই অলংকার দুইটি লইয়া যাও এবং অমুক পরিবারস্থ লোকদেরকে (যাহারা অতি দরিদ্র বলিয়া পরিচিত) দিয়া আস। আর ইহারা হইল (হাসান ও হুসাইনের দিকে ইংগিত করিয়া) আমার পরিজন। তাহারা পার্থিব জীবনে সুখ সম্ভার ভোগ করিবে, আমি উহা পছন্দ করি না। (অতঃপর বলিলেন,) হে সওবান! যাও, ফাতেমার জন্য আছবের (বিশেষ পুঁতির) একখানা হার এবং হাতীর দাতের তৈয়ারী দুই খানা বালা খরিদ করিয়া আন। – আহমদ ও আবু দাউদ
كتاب اللباس
وَعَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا سَافَرَ كَانَ آخِرُ عَهْدِهِ بِإِنْسَانٍ مِنْ أَهْلِهِ فَاطِمَةَ وَأَوَّلُ مَنْ يَدْخُلُ عَلَيْهَا فَاطِمَةَ فَقَدِمَ مِنْ غَزَاةٍ وَقَدْ عَلَّقَتْ مَسْحًا أَوْ سِتْرًا عَلَى بَابِهَا وَحَلَّتِ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ قُلْبَيْنِ مِنْ فِضَّةٍ فَقَدِمَ فَلَمْ يَدْخُلْ فَظَنَّتْ أَنَّ مَا مَنَعَهُ أَنْ يَدْخُلَ مَا رَأَى فَهَتَكَتِ السِّتْرَ وَفَكَّتِ الْقُلْبَيْنِ عَنِ الصَّبِيَّيْنِ وَقَطَعَتْهُ مِنْهُمَا فَانْطَلَقَا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْكِيَانِ فَأَخَذَهُ مِنْهُمَا فَقَالَ: «يَا ثَوْبَانُ اذْهَبْ بِهَذَا إِلَى فُلَانٍ إِنَّ هَؤُلَاءِ أَهْلِي أَكْرَهُ أَنْ يَأْكُلُوا طَيِّبَاتِهِمْ فِي حَيَاتِهِمُ الدُّنْيَا. يَا ثَوْبَانُ اشْتَرِ لِفَاطِمَةَ قِلَادَةً مِنْ عَصْبٍ وَسُوَارَيْنِ مِنْ عَاجٍ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُد
হাদীসের ব্যাখ্যা:
সোনা রূপার যে কোন অলংকার ছোট ছোট ছেলেদেরকেও পরিধান করানো জায়েয নাই।