আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৭- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪০২
২৭৩। কিবলা সম্পর্কে বর্ণনা।
ভুলবশত কিবলার পরিবর্তে অন্যদিকে মুখ করে নামায আদায় করলে তা পুনরায় আদায় করা যাদের মতে আবশ্যকীয় নয়।
নবী (ﷺ) যোহরের দু’রাকআত নামায আদায় করে সালাম ফিরিয়ে মুসল্লীগণের দিকে মুখ করলেন। তারপরে বাকী নামায পূর্ণ করলেন।
৩৯৩। আমর ইবনে আওন (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উমর (রাযিঃ) বলেছেনঃ তিনটি বিষয়ে আমার অভিমত আল্লাহর ওহীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়েছে। আমি বলেছিলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমরা যদি মাকামে ইবরাহীমকে নামাযের স্থান বানাতে পারতাম! তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ (وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى) “তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে নামাযের স্থান বানাও” (২ : ১২৫)

(দ্বিতীয়) পর্দার আয়াত, আমি বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি আপনার সহধর্মিনীগণকে পর্দার আদেশ করতেন! কেননা, সৎ ও অসৎ সবাই তাদের সাথে কথা বলে। তখন পর্দার আয়াত নাযিল হয়।

আর একবার নবী (ﷺ) এর সহধর্মিণীগণ অভিমান সহকারে একত্রে তাঁর নিকট উপস্থিত হন। তখন আমি তাদেরকে বললামঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যদি তোমাদের তালাক দেন, তাহলে তাঁর রব তাঁকে তোমাদের পরিবর্তে তোমাদের চাইতে উত্তম অনুগত স্ত্রী দান করবেন। (৬৬ : ৫) তখন এ আয়াত নাযিল হয়।

অপর সনদে ইবনে আবু মারয়াম (রাহঃ) .... আনাস (রাযিঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন