মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২৩- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা

হাদীস নং: ৪৩০৪
- পোষাক-পরিচ্ছদের বর্ণনা
পোশাক-পরিচ্ছদ পর্ব:
প্রথম অনুচ্ছেদ
৪৩০৪। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিবারা কাপড় পরিধান করিতে অধিক পছন্দ করিতেন। — মোত্তাঃ
كتاب اللباس
كتاب اللبَاس: الْفَصْلُ الْأَوْلُ
عَن أنسٍ قَالَ: كَانَ أَحَبُّ الثِّيَابِ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَلْبَسَهَا الْحِبَرَةُ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

পোশাক-পরিচ্ছদকে লেবাস বলে। পবিত্র কোরআনের ভাষায় উহাকে زينة (যীনাতুন) বলা হইয়াছে। যেমন, خُذُوا زِينَتَكُمْ عِندَ كُلِّ مَسْجِدٍ পোশাকের মুখ্য উদ্দেশ্য হইল লজ্জাস্থান ঢাকা। পুরুষের নাভি হইতে হাঁটু পর্যন্ত এবং নারীদের মাথা হইতে পায়ের পাতা পর্যন্ত ঢাকা ফরয। অবশ্য পুরুষের পায়ের গোড়ালির (নালার) মধ্যস্থান পর্যন্ত ঢাকা সুন্নত এবং টানার উপর পর্যন্ত পরা জায়েয আছে। কিন্তু উহার নীচে ঝুলানো না-জায়েয। মোটকথা, পোশাক ব্যবহারে নিম্নে বর্ণিত বিষয়গুলির প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখিতে হইবে ।
(ক) এমন পোশাক বর্জন করিতে হইবে, যাহাতে মনের মধ্যে অহংকার সৃষ্টি হইতে পারে। (খ) ফাসেকদের পোশাক হইতে বিরত থাকিতে হইবে। (গ) এমন পাতলা পোশাক পরিবে না, যাহাতে ছতর দেখা যায়। (ঘ) রেশমী কাপড় পুরুষের জন্য হারাম, মহিলারা পরিতে পারে। (ঙ) যে পোশাক অন্য জাতির (অমুসলিম) সদৃশ হয়, তাহা ব্যবহার হইতে বিরত থাকিবে। ইসলামে পোশাকের বিশেষ বৈশিষ্ট্য রহিয়াছে। এই পর্বে উহারই বর্ণনা করা হইয়াছে।

হিবারা ইয়ামন দেশীয় সবুজ অথবা লাল বর্ণের ডোরাযুক্ত সূতী কাপড়। কাহারো মতে উহা বেহেশতীদের লেবাস।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান