মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২২- খাদ্যদ্রব্য-পানাহার সংক্রান্ত অধ্যায়

হাদীস নং: ৪২৬১
নিতান্ত ঠেকায় পড়িয়া হারাম দ্রব্য খাওয়া জায়েয আছে। আল্লাহর বাণীঃ

إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنزِيرِ ...... فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ - الآية

আবার প্রয়োজন দুই কারণে হইতে পারে। (এক) এমন ভীষণ ক্ষুধায় পতিত হওয়া যে, জান বাঁচাইতে পারে এই পরিমাণ কোন হালাল খাদ্য সংগ্রহ না হওয়া। (দুই) হারাম খাওয়ার জন্য জোরপূর্বক বাধ্য করা। যেই পরিমাণ খাইলে জান বাঁচিয়া যায়, নিরুপায় অবস্থায় সেই পরিমাণ খাওয়া অধিকাংশ ইমামের মতে জায়েয আছে। তবে হারাম বস্তু সংগ্রহ করিয়া রাখিতে পারিবে না।

وهذا الباب خال عن الفصل الأول

[এই অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদে কোন হাদীস বর্ণিত হয় নাই]

২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - নিরুপায়ের খাওয়া সম্পর্কে (ব্যক্তির পক্ষ কখন মৃত প্রাণী খাওয়া বৈধ হয়)
৪২৬১। হযরত ফুজায়উল আমেরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা তিনি নবী (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, আমাদের পক্ষে মৃত (জানােয়ার) খাওয়া কখন হালাল হইবে ? হযুর জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমাদের খাদ্য কি পরিমাণ আছে ? আমরা বলিলাম, আমরা গাবুক ও সাবূহ্ করিয়া থাকি। বর্ণনাকারী আবু নায়ীম বলেন, হযরত ওকবাহ আমাকে ইহার ব্যাখ্যায় বলিয়াছেন, সকালে এক পেয়ালা এবং বিকালে এক পেয়ালা দুধ। এই কথা শুনিয়া হুযুর (ﷺ) বলিলেনঃ আমার পিতার কসম! এই (সামান্য পরিমাণের) খাদ্য তাে ক্ষুধারই নামাস্তর। ফলে তিনি এমতাবস্থায় তাহাদের জন্য মৃত খাওয়ার অনুমতি দিলেন। —আবু দাউদ
بَابٌ أكْلِ الْمُضْطَرِّ: الْفَصْل الثَّانِي
عَن الفجيع العامري أَنَّهُ أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: مَا يَحِلُّ لَنَا مِنَ الْمِيتَةِ؟ قَالَ: «مَا طعامُكم؟» قُلنا: نَغْتَبِقُ وَنَصْطَبِحُ قَالَ أَبُو نُعَيْمٍ: فَسَّرَهُ لِي عُقْبَةُ: قَدَحٌ غُدْوَةً وَقَدَحٌ عَشِيَّةً قَالَ: «ذَاكَ وَأَبِي الْجُوعُ» فَأَحَلَّ لَهُمُ الْمَيْتَةَ عَلَى هَذِهِ الحالِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

হাদীসের ব্যাখ্যা:

ইহা বাপের নামে তথা গায়রুল্লাহর নামে কসম করা নিষিদ্ধ হওয়ার পূর্বেকার ঘটনা অথবা এইখানে কসম দ্বারা সম্মান প্রদর্শন ছিল না; বরং কথাটিকে শুধু সুদৃঢ় করাই উদ্দেশ্য ছিল। উল্লিখিত এই সামান্য পরিমাণ খাদ্য ক্ষুধা নিবারণের জন্য যথেষ্ট নহে বিধায় মৃত খাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। স্মরণ রাখিতে হইবে, ক্ষুধার সূচনাতেই হারাম খাওয়া জায়েয নাই, যাবৎ নিরুপায় অবস্থায় পতিত না হয়।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান
মিশকাতুল মাসাবীহ - হাদীস নং ৪২৬১ | মুসলিম বাংলা