আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৩৯১৫
আন্তর্জাতিক নং: ৪২৩৪
২২০২. খায়বারের যুদ্ধ
৩৯১৫। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু হুরায়রা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, খায়বার যুদ্ধে আমরা বিজয় লাভ করেছি কিন্তু গনীমত হিসেবে আমরা সোনা, রূপা কিছুই লাভ করিনি। আমরা যা পেয়েছিলাম তা ছিল গরু, উট, বিভিন্ন দ্রব্য-সামগ্রী এবং ফলের বাগান। (যুদ্ধ শেষ করে) আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সঙ্গে ওয়াদিউল কুরা নামক স্থান পর্যন্ত ফিরে আসলাম। তাঁর [নবী কারীম (ﷺ)] সঙ্গে ছিল মিদআম নামক একটি গোলাম। বনী যুবাইর- এর জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে এটি হাদিয়া দিয়েছিল।
এক সময়ে সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর হাওদা নামানোর কাজে ব্যস্ত ছিল আর ঐ মুহূর্তে এক অজ্ঞাত স্থান থেকে একটি তীর ছুটে এসে তার গায়ে পড়লো। ফলে গোলামটি মারা গেল। এ অবস্থা দেখে লোকজন বলাবলি শুরু করলো যে, কি আনন্দদায়ক তার এ শাহাদত! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাই নাকি? সেই মহান সত্তার কসম, তাঁর হাতে আমার প্রাণ, বন্টনের আগে খায়বার যুদ্ধলব্ধ গনীমত থেকে সে যে চাঁদরখানা তুলে নিয়েছিল সেটি আগুন হয়ে অবশ্যই তাকে দগ্ধ করবে।
নবী কারীম (ﷺ) থেকে এ কথাটি শোনার পর আরেক ব্যক্তি একটি অথবা দু’টি জুতার ফিতা নিয়ে এসে বললো, এ জিনিসটি আমি বন্টনের আগেই নিয়েছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এ একটি অথবা দু’টি ফিতাও আগুনের ফিতায় রূপান্তরিত হতো।
এক সময়ে সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর হাওদা নামানোর কাজে ব্যস্ত ছিল আর ঐ মুহূর্তে এক অজ্ঞাত স্থান থেকে একটি তীর ছুটে এসে তার গায়ে পড়লো। ফলে গোলামটি মারা গেল। এ অবস্থা দেখে লোকজন বলাবলি শুরু করলো যে, কি আনন্দদায়ক তার এ শাহাদত! তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, তাই নাকি? সেই মহান সত্তার কসম, তাঁর হাতে আমার প্রাণ, বন্টনের আগে খায়বার যুদ্ধলব্ধ গনীমত থেকে সে যে চাঁদরখানা তুলে নিয়েছিল সেটি আগুন হয়ে অবশ্যই তাকে দগ্ধ করবে।
নবী কারীম (ﷺ) থেকে এ কথাটি শোনার পর আরেক ব্যক্তি একটি অথবা দু’টি জুতার ফিতা নিয়ে এসে বললো, এ জিনিসটি আমি বন্টনের আগেই নিয়েছিলাম। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, এ একটি অথবা দু’টি ফিতাও আগুনের ফিতায় রূপান্তরিত হতো।
باب غَزْوَةُ خَيْبَرَ
4234 - حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي ثَوْرٌ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَالِمٌ، مَوْلَى ابْنِ مُطِيعٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، يَقُولُ: افْتَتَحْنَا خَيْبَرَ، وَلَمْ نَغْنَمْ ذَهَبًا وَلاَ فِضَّةً، إِنَّمَا غَنِمْنَا البَقَرَ وَالإِبِلَ وَالمَتَاعَ وَالحَوَائِطَ، ثُمَّ انْصَرَفْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى وَادِي القُرَى، وَمَعَهُ عَبْدٌ لَهُ يُقَالُ لَهُ مِدْعَمٌ، أَهْدَاهُ لَهُ أَحَدُ بَنِي الضِّبَابِ، فَبَيْنَمَا هُوَ يَحُطُّ رَحْلَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذْ جَاءَهُ سَهْمٌ عَائِرٌ، حَتَّى أَصَابَ ذَلِكَ العَبْدَ، فَقَالَ النَّاسُ: هَنِيئًا لَهُ الشَّهَادَةُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَلْ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إِنَّ الشَّمْلَةَ الَّتِي أَصَابَهَا يَوْمَ خَيْبَرَ مِنَ المَغَانِمِ، لَمْ تُصِبْهَا المَقَاسِمُ، لَتَشْتَعِلُ عَلَيْهِ نَارًا» فَجَاءَ رَجُلٌ حِينَ سَمِعَ ذَلِكَ مِنَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِشِرَاكٍ أَوْ بِشِرَاكَيْنِ، فَقَالَ: هَذَا شَيْءٌ كُنْتُ أَصَبْتُهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «شِرَاكٌ - أَوْ شِرَاكَانِ - مِنْ نَارٍ»
