মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
২১- শিকার ও জবাইয়ের পশুর বিধান
হাদীস নং: ৪১৩১
- শিকার ও জবাইয়ের পশুর বিধান
২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যেসব প্রাণী খাওয়া হালাল ও হারাম
৪১৩১। হযরত খালেদ ইবনে ওয়ালীদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, তিনি বলেন, খায়বার যুদ্ধের দিন আমি নবী (ﷺ)-এর সাথে শরীক ছিলাম। (এই সময়) ইয়াহুদীরা আসিয়া এই অভিযোগ করিল যে, লোকেরা (মুসলমান সেনাবাহিনী) তাহাদের ফলফলারির প্রতি ঝুঁকিয়া পড়িয়াছে। তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ঘোষণা করিলেন, সাবধান! সন্ধিচুক্তিতে আব্দ্ধ এমন লোকদের মাল-সম্পদ ন্যায্য অধিকার ছাড়া হালাল নহে। –আবু দাউদ
كتاب الصيد والذبائح
وَعَنْهُ قَالَ: غَزَوْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَ خَيْبَرَ فَأَتَتِ الْيَهُودُ فَشَكَوْا أَنَّ النَّاسَ قَدْ أَسْرَعُوا إِلَى خَضَائِرِهِمْ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا لَا يَحِلُّ أَمْوَالُ المعاهِدينَ إِلاَّ بحقِّها» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীসের ব্যাখ্যা:
খায়বার বিজয়ের পর ইয়াহুদীদের সাথে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে সম্পদ প্রদানের উপর চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছিল, এতদ্সত্ত্বেও মুসলমানরা তাহাদের বাগানের ফলফলারি পাড়িয়া খাইতে লাগিল। তখন হুযূর (ﷺ) বলিয়াছেন, চুক্তির বাহিরে সম্পদ ভোগ করা হালাল নহে।