আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৩৮৯৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪২১১
২২০২. খায়বারের যুদ্ধ
৩৮৯৬। আব্দুল গাফফার ইবনে দাউদ ও আহমদ (রাহঃ) .... আনাস ইবনে মালিক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা খায়বারে এসে পৌঁছলাম। এরপর যখন আল্লাহ তাঁকে খায়বার দুর্গের বিজয় দান করলেন তখন তাঁর কাছে (ইয়াহুদী দলপতি) হুয়াঈ ইবনে আখতাবের কন্যা সাফিয়্যা (রাযিঃ)- এর সৌন্দর্যের কথা আলোচনা করা হল। তার স্বামী (কেনানা ইবনুর রাবী এ যুদ্ধে) নিহত হয়। সে ছিল নববধূ। নবী কারীম (ﷺ) তাকে নিজের জন্য মনোনীত করেন এবং তাঁকে সঙ্গে করে (খায়বার থেকে) রওয়ানা হন। এরপর আমরা যখন সাদ্দুস সাহবা নামক স্থান পর্যন্ত দিয়ে পৌঁছলাম তখন সাফিয়্যা (রাযিঃ) তাঁর মাসিক ঋতুস্রাব থেকে পবিত্রতা লাভ করলেন।
এ সময়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাথে বাসরঘরে সাক্ষাত করলেন। তারপর একটি ছোট দস্তরখানে (খেজুর-ঘি ও ছাতু মেশানো এক প্রকার) হায়স নামক খাদ্য সাজিয়ে আমাকে বললেন, তোমার আশেপাশে যারা আছে সবাইকে ডাকো। আর এটাই ছিল সাফিয়্যা (রাযিঃ)-এর সাথে বিয়ের ওয়ালীমা। তারপর আমরা মদীনার দিকে রওয়ানা হলাম, আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে তাঁর পেছনে (সওয়ারীর পিঠে) সাফিয়্যা (রাযিঃ)-এর জন্য একটি চাঁদর বিছাতে দেখেছি। এরপর তিনি তাঁর সওয়ারীর উপর হাঁটুদয় মেলে বসতেন আর সাফিয়্যা (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ)- এর হাঁটুর উপর পা রেখে সওয়ারীতে আরোহণ করতেন।
এ সময়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সাথে বাসরঘরে সাক্ষাত করলেন। তারপর একটি ছোট দস্তরখানে (খেজুর-ঘি ও ছাতু মেশানো এক প্রকার) হায়স নামক খাদ্য সাজিয়ে আমাকে বললেন, তোমার আশেপাশে যারা আছে সবাইকে ডাকো। আর এটাই ছিল সাফিয়্যা (রাযিঃ)-এর সাথে বিয়ের ওয়ালীমা। তারপর আমরা মদীনার দিকে রওয়ানা হলাম, আমি নবী কারীম (ﷺ)- কে তাঁর পেছনে (সওয়ারীর পিঠে) সাফিয়্যা (রাযিঃ)-এর জন্য একটি চাঁদর বিছাতে দেখেছি। এরপর তিনি তাঁর সওয়ারীর উপর হাঁটুদয় মেলে বসতেন আর সাফিয়্যা (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ)- এর হাঁটুর উপর পা রেখে সওয়ারীতে আরোহণ করতেন।
باب غَزْوَةُ خَيْبَرَ
4211 - حَدَّثَنَا عَبْدُ الغَفَّارِ بْنُ دَاوُدَ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، ح وحَدَّثَنِي أَحْمَدُ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ: أَخْبَرَنِي يَعْقُوبُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الزُّهْرِيُّ، عَنْ عَمْرٍو، مَوْلَى المُطَّلِبِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَدِمْنَا خَيْبَرَ فَلَمَّا فَتَحَ اللَّهُ عَلَيْهِ الحِصْنَ، ذُكِرَ لَهُ جَمَالُ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيِّ بْنِ أَخْطَبَ، وَقَدْ قُتِلَ زَوْجُهَا وَكَانَتْ عَرُوسًا، فَاصْطَفَاهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِنَفْسِهِ، فَخَرَجَ بِهَا حَتَّى بَلَغْنَا سَدَّ الصَّهْبَاءِ حَلَّتْ، فَبَنَى بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ صَنَعَ حَيْسًا فِي نِطَعٍ صَغِيرٍ، ثُمَّ قَالَ لِي: «آذِنْ مَنْ حَوْلَكَ» . فَكَانَتْ تِلْكَ وَلِيمَتَهُ عَلَى صَفِيَّةَ، ثُمَّ خَرَجْنَا إِلَى المَدِينَةِ، فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُحَوِّي لَهَا وَرَاءَهُ بِعَبَاءَةٍ، ثُمَّ يَجْلِسُ عِنْدَ بَعِيرِهِ فَيَضَعُ رُكْبَتَهُ، وَتَضَعُ صَفِيَّةُ رِجْلَهَا عَلَى رُكْبَتِهِ حَتَّى تَرْكَبَ
