মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৮৫৬
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৩৮৫৬। হযরত হাসানা বিনতে মুআবিয়া (রাঃ) বলেন, আমার চাচা আমাকে বর্ণনা করিয়াছেন যে, আমি নবী (ﷺ)কে জিজ্ঞাসা করিলাম, কোন্ কোন্ লোক বেহেশতে যাইবেন ? উত্তরে তিনি বলিলেনঃ নবী জান্নাতে যাইবেন, শহীদ, নাবালেগ শিশু এবং সেই সমস্ত শিশু যাহাদিগকে (তাহাদের মাতাপিতা) জীবন্ত কবর দিয়াছে। ইহারা সকলেই বেহেশতে যাইবে। – আবু দাউদ
كتاب الجهاد
وَعَنْ حَسْنَاءَ بِنْتِ مُعَاوِيَةَ قَالَتْ: حَدَّثَنَا عَمِّي قَالَ: قَلْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ فِي الْجَنَّةِ؟ قَالَ: «النَّبِيُّ فِي الْجَنَّةِ وَالشَّهِيدُ فِي الْجَنَّةِ وَالْمَوْلُودُ فِي الْجَنَّةِ وَالْوَئِيدُ فِي الْجنَّة» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

হাদীসের ব্যাখ্যা:

মুশরিকদের ছোট ছোট শিশু মারা গেলে তাহারা জান্নাতে যাইবে, না জাহান্নামে, এ ব্যাপারে ইমামদের মধ্যে মতভেদ রহিয়াছে। অধিকাংশ ইমামের অভিমত এই সম্পর্কে নীরব থাকাই শ্রেয়ঃ। ইমাম আবু হানীফাকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি ঐ শব্দটিই বলিলেনঃ الله اعلم بما كانوا عاملين যাহা হাদীসে বর্ণিত হইয়াছে। অর্থঃ “আল্লাহ্ই বেশী জানেন, তাহারা বড় হইয়া কি কি কাজ করিত। ” মোটকথা, নীরব থাকাই উত্তম। তবে হাদীসে বিশেষভাবে উক্ত চারি প্রকারের মর্যাদা ও অগ্রগামী অথবা বেহিসাব জান্নাতে প্রবেশকারী হিসাবে বলা হইয়াছে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান