মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

২০- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৮৩৮
- জিহাদের বিধানাবলী অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৮৩৮। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা হজ্জ, ওমরা কিংবা জেহাদ ফী সাবীলিল্লাহ্-এর উদ্দেশ্য ব্যতীত অন্য কোন উদ্দেশ্যে সামুদ্রিক সফরে বাহির হইও না। কেননা, সমুদ্রের নীচে আগুন আছে এবং আগুনের নীচেও সমুদ্র আছে। –আবু দাউদ
كتاب الجهاد
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تَرْكَبِ الْبَحْرَ إِلَّا حَاجًّا أَوْ مُعْتَمِرًا أَوْ غَازِيًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَإِنَّ تَحْتَ الْبَحْرِ نَارًا وَتَحْتَ النَّارِ بَحْرًا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হযরত আলী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, সমুদ্রের নীচে জাহান্নাম। হযরত শাহ্ ওয়ালী উল্লাহ্ মুহাদ্দিসে দেহলবী (রঃ) উক্ত হাদীসের আলোকে বলিয়াছেন, বর্তমানে পৃথিবীতে যে সাতটি সাগর বিদ্যমান রহিয়াছে, সম্ভবতঃ উহাই জাহান্নাম। সাগরে আমরা পানিই দেখিতে পাইতেছি। হইতে পারে কিয়ামতের দিন উহা আগুনে রূপান্তরিত হইবে। আর সামুদ্রিক সফর করিতে নিষেধ করার কারণ হইল উহা ভয়ঙ্কর এবং বিপজ্জনক। সুতরাং অনিবার্য কারণ ব্যতীত উহা হইতে এড়াইয়া চলাই উত্তম।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান