মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১৯- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৭৭৯
- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - বিচারকার্য এবং সাক্ষ্যদান
৩৭৭৯। হযরত খুরায়ম ইবনে ফাতেক (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ফজরের নামায পড়াইলেন, নামায শেষ করার পর তিনি দাঁড়াইলেন এবং তিন বার বলিলেনঃ মিথ্যা সাক্ষ্য দানকে আল্লাহর সহিত শিরকের সমতুল্য করা হইয়াছে। অতঃপর (ইহার সমর্থনে) তিনি কোরআনের এই আয়াতটি পাঠ করিলেন—অর্থঃ “মূর্তিপূজার অপবিত্রতা হইতে তোমরা দূরে সরিয়া থাক এবং মিথ্যা বলা হইতেও বাঁচিয়া থাক এমতাবস্থায় যে, বাতিলকে বর্জন করিয়া আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করিবে। তাহার সহিত কাহাকেও শরীক করিবে না।” –আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্
كتاب الإمارة والقضاء
وَعَن خُريمِ بن
فاتكٍ قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الصُّبْحِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَامَ قَائِمًا فَقَالَ: «عُدِلَتْ شَهَادَةُ الزُّورِ بِالْإِشْرَاكِ بِاللَّهِ» ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. ثُمَّ قَرَأَ: (فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ حُنَفَاءَ لِلَّهِ غَيْرَ مُشْرِكِينَ بهِ)
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
فاتكٍ قَالَ: صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَاةَ الصُّبْحِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَامَ قَائِمًا فَقَالَ: «عُدِلَتْ شَهَادَةُ الزُّورِ بِالْإِشْرَاكِ بِاللَّهِ» ثَلَاثَ مَرَّاتٍ. ثُمَّ قَرَأَ: (فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ حُنَفَاءَ لِلَّهِ غَيْرَ مُشْرِكِينَ بهِ)
رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه
হাদীসের ব্যাখ্যা:
মিথ্যা সাক্ষ্য দানকে শিরক বিল্লাহর সহিত তুলনা করার কারণ এই যে, ‘শিরক হইল আল্লাহর প্রতি এমন মিথ্যা বলা, যাহা হইতে আল্লাহ্ পবিত্র। আর মিথ্যা সাক্ষ্য দান হইল বান্দার প্রতি এমন মিথ্যা অভিযোগ আনা যাহা অমূলক। অথবা 'শিরক' হইল 'মিথ্যার' সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ। কেননা, মুশরিক ধারণা করে যে, মূর্তি এবং দেব-দেবী পূজা-অর্চনার অধিকারী। এই হিসাবে মিথ্যা ও শিরক সমপর্যায়ের।