আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮৫
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৭২। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আসমা ও মুসা ইবনে ইসমাঈল (রাহঃ) .... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)- এর কোন ছেলে তাঁকে [আব্দুল্লাহ (রাযিঃ)-কে] লক্ষ করে বলেন, এ বছর আপনি মক্কা শরীফ যাওয়া স্থগিত রাখলেই উত্তম হত। কারণ আমি আশঙ্কা করছি যে, আপনি বায়তুল্লাহ শরীফ যেতে পারবেন না। তখন আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) বললেন, আমরা নবী কারীম (ﷺ)- এর সঙ্গে রওয়ানা হয়েছিলাম। পথে কুরাইশ কাফেররা বায়তুল্লাহর যিয়ারতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে নবী কারীম (ﷺ) তাঁর কুরবানীর পশুগুলো যবেহ করে মাথা কামিয়ে ফেললেন। সাহাবীগণ চুল ছাঁটলেন।
(এরপর তিনি বললেন) আমি তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমার জন্য উমরা আদায় করা আমি ওয়াজিব করে নিয়েছি। যদি আমার ও বায়তুল্লাহর মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা না হয় তাহলে আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফ করবো। আর যদি আমার ও বায়তুল্লাহর মাঝে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয় তাহলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা করেছেন আমি তাই করবো। এরপর তিনি কিছুক্ষণ পথ চলে বললেন, আমি হজ্জ এবং উমরার বিষয়টি একই মনে করি। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আমার হজ্জ কেও উমরার সাথে আমার জন্য ওয়াজিব করে নিয়েছি। এরপর তিনি উভয়ের জন্য একই তওয়াফ এবং একই সা‘ঈ করলেন এবং হজ্জ ও উমরার ইহরাম খুলে ফেললেন।*
*হানাফী মাযহাব মতে, হজ্জ ও উমরার ইহরাম একত্রে বাধা হলে হজ্জ ও উমরার জন্য আলাদা আলাদাভাবে তাওয়াফ ও সা‘ঈ করতে হয়।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন