আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৮০
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৬৯। ইসহাক (রাহঃ) .... উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি মারওয়ান ইবনে হাকাম এবং মিসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাযিঃ) উভয়ের থেকে হুদায়বিয়ায় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর উমরা আদায় করার ঘটনা বর্ণনা করতে শুনেছেন। তাঁদের থেকে উরওয়া (রাযিঃ) আমার (মুহাম্মাদ ইবনে মুসলিম ইবনে শিহাব) নিকট যা বর্ণনা করেছেন তা হচ্ছে এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সুহাঈল ইবনে আমরকে হুদায়বিয়ার দিন সন্ধিনামায় যা লিখিয়েছিলেন তার মধ্যে সুহাঈল ইবনে আমরের আরোপিত শর্তসমুহের মধ্যে একটি শর্ত এই ছিলঃ আমাদের থেকে যদি কেউ আপনার কাছে চলে আসে তবে সে আপনার দ্বীনে বিশ্বাসী হলেও তাকে আমাদের কাছে ফেরত দিয়ে দিতে হবে এবং তার ও আমাদের মধ্যে আপনি কোন বাঁধা সৃষ্টি করতে পারবেন না। এ শর্ত মেনে না নিলে সুহাঈল রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে সন্ধি করতেই অস্বীকৃতি প্রকাশ করে। এ শর্তটিকে মু’মিনগণ অপছন্দ করলেন এবং এতে তারা অত্যন্ত মনঃক্ষুণ্ণ হলেন ও এর বিরুদ্ধে আপত্তি উত্থাপন করলেন।
কিন্তু যখন সুহাঈল এ শর্ত ব্যতীত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে চুক্তি সম্পাদনে অস্বীকৃতি জানাল তখন এ শর্তের উপরই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে সন্ধিপত্র লেখালেন এবং আবু জানদাল ইবনে সুহাঈল (রাযিঃ)- কে এ মুহুর্তেই তার পিতা সুহাঈল ইবনে আমরের কাছে ফিরিয়ে দিলেন। সন্ধির মেয়াদকালে পুরুষদের মধ্যে যারাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে চলে আসতেন, মুসলমান হলেও তিনি তাদেরকে ফিরিয়ে দিতেন। এ সময় কিছু সংখ্যক মুসলিম মহিলা হিজরত করে চলে আসেন। উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা ইবনে আবু মু‘আইত (রাযিঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর প্রতি হিজরতকারিণী একজন যুবতী মহিলা। তিনি হিজরত করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে এসে পৌঁছলে তাঁর পরিবারের লোকেরা নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট এসে তাঁকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালো। এসময় আল্লাহ পাক মু’মিন মহিলাদের সম্পর্কে যা নাযিল করার তা নাযিল করলেন।
বর্ণনাকারী ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, আমাকে উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) বলেছেন যে, নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিম্নোক্ত আয়াতের নির্দেশ অনুযায়ী হিজরতকারিণী মু’মিন মহিলাদেরকে পরীক্ষা করতেন। আয়াতটি হল এইঃ হে নবী! মু’মিন মহিলাগণ যখন আপনার নিকট আসে .... [শেষ পর্যন্ত (৬০ : ১২)]।
(অন্য সনদে) ইবনে শিহাব (রাহঃ) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ বিবরণও পৌঁছেছে যে, যখন আল্লাহ তা’লা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে মুশরিক স্বামীর তরফ থেকে হিজরতকারী মুসলমান স্ত্রীকে দেওয়া মোহরানা মুশরিক স্বামীকে ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর আবু বাসীর (রাযিঃ)- এর ঘটনা সম্বলিত হাদীসও আমাদের নিকট পৌঁছেছে। এরপর তিনি আবু বাসীর (রাযিঃ)- এর ঘটনা সম্বলিত হাদীসটি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করলেন।
কিন্তু যখন সুহাঈল এ শর্ত ব্যতীত রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর সাথে চুক্তি সম্পাদনে অস্বীকৃতি জানাল তখন এ শর্তের উপরই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে সন্ধিপত্র লেখালেন এবং আবু জানদাল ইবনে সুহাঈল (রাযিঃ)- কে এ মুহুর্তেই তার পিতা সুহাঈল ইবনে আমরের কাছে ফিরিয়ে দিলেন। সন্ধির মেয়াদকালে পুরুষদের মধ্যে যারাই রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে চলে আসতেন, মুসলমান হলেও তিনি তাদেরকে ফিরিয়ে দিতেন। এ সময় কিছু সংখ্যক মুসলিম মহিলা হিজরত করে চলে আসেন। উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা ইবনে আবু মু‘আইত (রাযিঃ) ছিলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর প্রতি হিজরতকারিণী একজন যুবতী মহিলা। তিনি হিজরত করে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কাছে এসে পৌঁছলে তাঁর পরিবারের লোকেরা নবী কারীম (ﷺ)- এর নিকট এসে তাঁকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানালো। এসময় আল্লাহ পাক মু’মিন মহিলাদের সম্পর্কে যা নাযিল করার তা নাযিল করলেন।
বর্ণনাকারী ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, আমাকে উরওয়া ইবনে যুবাইর (রাহঃ) বলেছেন যে, নবী কারীম (ﷺ)- এর সহধর্মিনী আয়িশা (রাযিঃ) বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিম্নোক্ত আয়াতের নির্দেশ অনুযায়ী হিজরতকারিণী মু’মিন মহিলাদেরকে পরীক্ষা করতেন। আয়াতটি হল এইঃ হে নবী! মু’মিন মহিলাগণ যখন আপনার নিকট আসে .... [শেষ পর্যন্ত (৬০ : ১২)]।
(অন্য সনদে) ইবনে শিহাব (রাহঃ) তাঁর চাচা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমাদের কাছে এ বিবরণও পৌঁছেছে যে, যখন আল্লাহ তা’লা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- কে মুশরিক স্বামীর তরফ থেকে হিজরতকারী মুসলমান স্ত্রীকে দেওয়া মোহরানা মুশরিক স্বামীকে ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর আবু বাসীর (রাযিঃ)- এর ঘটনা সম্বলিত হাদীসও আমাদের নিকট পৌঁছেছে। এরপর তিনি আবু বাসীর (রাযিঃ)- এর ঘটনা সম্বলিত হাদীসটি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করলেন।
