মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৮- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৫৬৬
- শরীআতের দন্ড বিধি অধ্যায়
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৩৫৬৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত যে, নবী (ﷺ) মায়ের ইবনে মালেককে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার সম্পর্কে আমার নিকট যেই খবর পৌঁছিয়াছে, উহা কি সত্য? মায়ের বলিলেন, আমার সম্পর্কে আপনার কাছে কি খবর পৌঁছিয়াছে? তিনি বলিলেনঃ আমার কাছে এই খবর পৌঁছিয়াছে, তুমি নাকি অমুক ব্যক্তির দাসীর সাথে যিনা করিয়াছ? তিনি বলিলেন, হ্যাঁ। কথাটি সত্য এবং তিনি এই কথাটি চারি বার স্বীকার করিলেন। অতঃপর হুযূর (ﷺ) নির্দেশ করিলে তাঁহাকে রজম করা হয়। —মুসলিম
كتاب الحدود
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ: «أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ؟» قَالَ: وَمَا بَلَغَكَ عَنِّي؟ قَالَ: «بَلَغَنِي أَنَّكَ قَدْ وَقَعْتَ عَلَى جَارِيَةِ آلِ فُلَانٍ» قَالَ: نَعَمْ فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ فَأمر بهِ فرجم. رَوَاهُ مُسلم

হাদীসের ব্যাখ্যা:

এই হাদীস হইতে বুঝা যাইতেছে যে, হুযূর (ﷺ) পূর্ব হইতেই মায়েযের ঘটনা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন এবং পরে তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলে তিনি অকপটে তাহা স্বীকারও করিয়াছেন। কিন্তু পূর্বে বুরায়দা হইতে বর্ণিত হাদীসে পরিষ্কারভাবে বুঝা গিয়াছে যে, হুযূর (ﷺ) কিছুই অবগত ছিলেন না। সুতরাং এই বিরোধের উত্তর হইল এই বর্ণনাকারীগণ কখনও ঘটনা আদ্যোপান্ত বর্ণনা করেন, আবার কখনও শুরু ও শেষাংশটি বর্ণনা করিয়া ক্ষান্ত হন। এই পর্যায়ে ইবনে আব্বাস (রাঃ) ঘটনার কেবলমাত্র শুরু ও শেষ বর্ণনা করিয়াই ক্ষান্ত হইয়াছেন। বিস্তারিত ঘটনার অবতারণা করেন নাই। সুতরাং উভয় হাদীসের মধ্যে কোন বিরোধ নাই।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান