আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ

হাদীস নং: ৩৮৪৬
আন্তর্জাতিক নং: ৪১৫২
২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ।
৩৮৪৬। ইউসুফ ইবনে ঈসা (রাহঃ) .... জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হুদায়বিয়ার দিন লোকেরা পিপাসার্ত হয়ে পড়লেন। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট একটি চর্মপাত্র ভর্তি পানি ছিল মাত্র। তিনি তা দিয়ে উযু করলেন। তখন লোকেরা তাঁর প্রতি এগিয়ে আসলে তিনি তাদেরকে বললেন, কি হয়েছে তোমাদের? তারা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার চর্মপাত্রের পানি ব্যতীত আমাদের কাছে এমন কোনো পানি নেই যার দ্বারা আমরা উযু করব এবং যা আমরা পান করব। বর্ণনাকারী জাবির (রাযিঃ) বলেন, এরপর নবী কারীম (ﷺ) তাঁর মুবারক হাতখানা ঐ চর্মপাত্রে রাখলেন। অমনি তার আঙ্গুলগুলোর মধ্যস্থল থেকে ঝরণাধারার মত পানি উথলিয়ে উঠতে লাগলো। জাবির (রাযিঃ) বলেন, আমরা সে পানি পান করলাম এবং তা দিয়ে উযু করলাম। [সালিম (রাহঃ) বলেন] আমি জাবির (রাযিঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনারা সেদিন কতজন লোক ছিলেন? তিনি বললেন, আমাদের সংখ্যা এক লাখ হলেও এ পানিই আমাদের জন্য যথেষ্ট হত। আমরা ছিলাম তখন পনেরশ লোক মাত্র।*
*হুদায়বিয়ার যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সাথে অংশগ্রহণকারী সাহাবাদের সংখ্যা কোন হাদীসে চৌদ্দশ, কোন হাদীসে পনেরশ আবার কোন হাদীসে তেরশ'র কথা উল্লেখ আছে। আসলে সংখ্যা কত, এ প্রশ্নের জবাবে আল্লামা কিরমানী (রাহঃ) বলেছেন, যারা বৃদ্ধ, যুবক ও কিশোর সকলকে গণনা করেছেন, তাঁরা বলেছেন পনেরশ, আর যারা বৃদ্ধ ও যুবকদেরকে গণনা করেননি তারা বলেছেন চৌদ্দশ, আর যারা শুধু বৃদ্ধদেরকে গণনা করেছেন, তাঁরা বলেছেন তেরশ। মূলত এ কথার মধ্যে কোন সংঘাত নেই। এর জবাবে আল্লামা নববী (রাহঃ) বলেছেন, সাহাবাদের সংখ্যা চৌদ্দশ'র কিছু বেশি ছিল। কেউ ভগ্নাংশ সহ পনেরশ উল্লেখ করেছেন। আবার কেউ ভগ্নাংশ বাদ দিয়ে চৌদ্দশ বর্ণনা করেছেন। আর যারা তেরশ উল্লেখ করেছেন, মূলত তাদের সংখ্যা জানা ছিল না।
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ
4152 - حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: عَطِشَ النَّاسُ يَوْمَ الحُدَيْبِيَةِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَيْنَ يَدَيْهِ رَكْوَةٌ فَتَوَضَّأَ مِنْهَا، ثُمَّ أَقْبَلَ النَّاسُ نَحْوَهُ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا لَكُمْ؟» قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ: لَيْسَ عِنْدَنَا مَاءٌ نَتَوَضَّأُ بِهِ وَلاَ [ص:123] نَشْرَبُ، إِلَّا مَا فِي رَكْوَتِكَ، قَالَ: «فَوَضَعَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدَهُ فِي الرَّكْوَةِ، فَجَعَلَ المَاءُ يَفُورُ مِنْ بَيْنِ أَصَابِعِهِ كَأَمْثَالِ العُيُونِ» . قَالَ: فَشَرِبْنَا وَتَوَضَّأْنَا فَقُلْتُ لِجَابِرٍ: كَمْ كُنْتُمْ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: لَوْ كُنَّا مِائَةَ أَلْفٍ لَكَفَانَا، كُنَّا خَمْسَ عَشْرَةَ مِائَةً
tahqiqতাহকীক:বিশুদ্ধ (পারিভাষিক সহীহ)
সহীহ বুখারী - হাদীস নং ৩৮৪৬ | মুসলিম বাংলা