মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

১৭- কিসাসের অধ্যায়

হাদীস নং: ৩৪৪৬
কেসাস পর্ব:
প্রথম অনুচ্ছেদ
৩৪৪৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ যেই মু'মিন বান্দা এই সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ্ ব্যতীত আর কোন মা'বুদ নাই এবং আমি আল্লাহর রাসূল, তাহার রক্ত তিনটি কারণ ব্যতীত হালাল নহে। (১) জানের বদলে জান কতল করা। (২) বিবাহিত ব্যভিচারীকে হত্যা (রজম) করা এবং (৩) দ্বীন ইসলাম ত্যাগকারী, যে মুসলিম জামাআত হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া গিয়াছে তাহাকে কতল করা হালাল। মোত্তাঃ
كتاب الْقصاص: الْفَصْل الأول
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَحِلُّ دَمُ امْرِئٍ مُسْلِمٍ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَّا بِإِحْدَى ثَلَاثٍ: النَّفْسُ بِالنَّفْسِ وَالثَّيِّبُ الزَّانِي وَالْمَارِقُ لدينِهِ التَّارِكُ للجماعةِ

হাদীসের ব্যাখ্যা:

কেসাস পর্ব

[হত্যাকারী বা আঘাতকারী হইতে বদলা লওয়া ]

القصاص এই শব্দটির মূল ধাতু,قص- ق- ص - ص আর قصاص -এর অর্থ হইল কাটা। আর قصاص (কেসাস) বলা হয় নিহত কিংবা আহত ব্যক্তির অভিভাবক কর্তৃক হত্যাকারী কিংবা আঘাতকারী হইতে প্রতিশোধ গ্রহণ করা। তবে এই কথা স্মরণ রাখিতে হইবে যে, যেই হত্যায় কেসাস ওয়াজিব হয়, যদি নিহত ব্যক্তির অভিভাবক ইচ্ছা করে, তাহা হইলে 'খুনের বদলে খুন' এই দাবী পরিহার করিয়া দিয়ত অর্থাৎ, মাল-সম্পদ গ্রহণ করিতে কিংবা ক্ষমা প্রদর্শন করিতে পারিবে।

কোন বিবাহিত বালেগ মুসলমান নর-নারী সম্পর্কে সাক্ষী প্রমাণ দ্বারা যিনা প্রমাণিত হইলে ইসলামে তাহার শাস্তি হইল রজম কায়েম করা অর্থাৎ, কংকর বা পাথর মারিয়া তাহাকে হত্যা করা। কোন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে হত্যা করিলে কেসাস হিসাবে তাহাকে হত্যা করা হইবে। আর যদি কেহ মুরদ হইয়া যায়, তবে প্রথমে তাহাকে কয়েদ করিয়া তাহার কি সন্দেহ বা অভিযোগ আছে তাহা দূর করিতে চেষ্টা করা হইবে এবং এই জন্য এক সপ্তাহ সময় দেওয়া যাইবে। যদি সে ইহার পরও নূতন আকীদায় বহাল থাকে, তখন তাহাকে হত্যা করা হইবে।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান