আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪১০৮
২১৯৩. খন্দকের যুদ্ধ, এ যুদ্ধকে আহযাবের যুদ্ধও বলা হয়।
৩৮০৮। ইবরাহীম ইবনে মুসা (রাহঃ) .... ইবনে উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি হাফসা (রাযিঃ)- এর নিকট গেলাম। সে সময় তাঁর চুলের বেণি থেকে ফোঁটা ফোঁটা পানি ঝরছিল। আমি তাঁকে বললাম, আপনি তো দেখেছেন, নেতৃত্বের ব্যাপারে লোকজন কি কান্ড করেছে। ইমারত ও নেতৃত্বের কিছুই আমাকে দেওয়া হয়নি। তখন তিনি বললেন, আপনি গিয়ে তাদের সাথে যোগ দিন। কেননা তাঁরা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আপনি তাদের থেকে দূরে সরে থাকার কারণে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হতে পারে বলে আমি আশঙ্কা করছি। হাফসা (রাযিঃ) তাঁকে (এ কথা) বলতে থাকেন। (অবশেষে) তিনি (সেখানে) গেলেন। এরপর লোকজন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে মুআবিয়া (রাযিঃ) বক্তৃতা দিয়ে বললেন, ইমারত ও খিলাফতের ব্যাপারে কারো কিছু বলার ইচ্ছা থাকলে সে আমাদের সামনে মাথা উঁচু করুক।
এ ব্যাপারে আমরাই তাঁর ও তাঁর পিতার চাইতে অধিক হকদার। তখন হাবীব ইবনে মাসলামা (রাহঃ) তাঁকে বললেন, আপনি এ কথার জবাব দেননি কেন? তখন আব্দুল্লাহ (ইবনে উমর) বললেন, আমি তখন আমার গায়ের চাঁদর ঠিক করলাম এবং এ কথা বলার ইচ্ছা করলাম যে, এ বিষয়ে ঐ ব্যক্তিই অধিক হকদার যে ইসলামের জন্য আপনার ও আপনার পিতার সাথে লড়াই করেছেন। তবে আমার এ কথায় (মুসলমানদের মাঝে) অনৈক্য সৃষ্টি হবে, অযথা রক্তপাত হবে এবং আমার এ কথার অপব্যাখ্যা করা হবে এ আশঙ্কায় এবং আল্লাহ জান্নাতে যে নিআমত তৈরী করে রেখেছেন তার কথা স্মরণ করে আমি উক্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকি। তখন হাবীব (রাহঃ) বললেন, এভাবেই আপনি (ফিতনা থেকে) রক্ষা পেয়েছেন এবং বেঁচে গিয়েছেন।
এ ব্যাপারে আমরাই তাঁর ও তাঁর পিতার চাইতে অধিক হকদার। তখন হাবীব ইবনে মাসলামা (রাহঃ) তাঁকে বললেন, আপনি এ কথার জবাব দেননি কেন? তখন আব্দুল্লাহ (ইবনে উমর) বললেন, আমি তখন আমার গায়ের চাঁদর ঠিক করলাম এবং এ কথা বলার ইচ্ছা করলাম যে, এ বিষয়ে ঐ ব্যক্তিই অধিক হকদার যে ইসলামের জন্য আপনার ও আপনার পিতার সাথে লড়াই করেছেন। তবে আমার এ কথায় (মুসলমানদের মাঝে) অনৈক্য সৃষ্টি হবে, অযথা রক্তপাত হবে এবং আমার এ কথার অপব্যাখ্যা করা হবে এ আশঙ্কায় এবং আল্লাহ জান্নাতে যে নিআমত তৈরী করে রেখেছেন তার কথা স্মরণ করে আমি উক্ত কথা বলা থেকে বিরত থাকি। তখন হাবীব (রাহঃ) বললেন, এভাবেই আপনি (ফিতনা থেকে) রক্ষা পেয়েছেন এবং বেঁচে গিয়েছেন।
