আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪০৬৬
২১৮১. মহান আল্লাহর বাণীঃ যেদিন দু’দল পরস্পরের সম্মুখীন হয়েছিল সেদিন তোমাদের মধ্য হতে যারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিল, তাদের কোন কৃতকর্মের জন্য শয়তানই তাদের পদস্খলন ঘটিয়েছিল। অবশ্য আল্লাহ তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। আল্লাহ ক্ষমাপরায়ণ ও পরম সহনশীল (৩ঃ ১৫৫)
৩৭৬৯। আবদান (রাহঃ) .... উসমান ইবনে মাওহাব (রাহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে এক ব্যক্তি বায়তুল্লায় এসে সেখানে একদল লোককে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, এসব লোক কারা? তারা বললেন, এরা হচ্ছেন কুরাইশ গোত্রের লোক। লোকটি পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, এ বৃদ্ধ লোকটি কে? উপস্থিত সকলেই বললেন, ইনি হচ্ছেন (আব্দুল্লাহ) ইবনে উমর (রাযিঃ)। তখন লোকটি তাঁর (ইবনে উমরের) কাছে গিয়ে বললেন, আমি আপনাকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করব, আপনি আমাকে বলে দেবেন কি? এরপর লোকটি বললেন, আমি আপনাকে এই ঘরের মর্যাদার কসম দিয়ে বলছি, উহুদ যুদ্ধের দিন উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) পালিয়েছিলেন, এ কথা আপনি জানেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। লোকটি বললেন, তিনি বদরের রণাঙ্গণে অনুপস্থিত ছিলেন, যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি- এ কথাও কি আপনি জানেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। লোকটি পুনরায় বললেন, তিনি বায়‘আতে রিদওয়ানেও অনুপস্থিত ছিলেন- এ কথাও কি আপনি জানেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বর্ণনাকারী বলেন, লোকটি তখন আল্লাহু আকবার ধ্বনি উচ্চারণ করল।
তখন ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, এসো, এখন আমি তোমাকে সব ব্যাপারে অবহিত করছি এবং তোমার প্রশ্নগুলোর উত্তর খুলে বলছি।
(১) উহুদের রনাঙ্গণ থেকে তাঁর পালানোর ব্যাপার সম্বন্ধে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
(২) বদর যুদ্ধে তাঁর অনুপস্থিত থাকার কারণ হচ্ছে এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কন্যা (রুকাইয়া) তাঁর স্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন অসুস্থ। তাই তাঁকে নবী কারীম (ﷺ) বলেছিলেন, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মত তুমি সাওয়াব লাভ করবে এবং গনীমতের অংশ পাবে।
(৩) বায়‘আতে রিদওয়ান থেকে তাঁর অনুপস্থিত থাকার কারণ হল এই যে, মক্কাবাসীদের নিকট উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) থেকে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি থাকলে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে মক্কা পাঠাতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ জন্য উসমান (রাযিঃ)-কে (মক্কা) পাঠালেন। তাঁর মক্কা গমনের পরই বায়‘আতে রিদওয়ান সংঘটিত হয়েছিল। তাই (বায়‘আত গ্রহণের সময়) নবী কারীম (ﷺ) তাঁর ডান হাতখানা অপর হাতের উপর রেখে বলেছিলেন, এটাই উসমানের হাত।
এরপর তিনি (আব্দুল্লাহ ইবনে উমর) বললেন, এই হল উসমান (রাযিঃ)-এর অনুপস্থিতির মূল কারণ। এখন তুমি যাও এবং এই কথাগুলো মনে গেঁথে রেখো।
তখন ইবনে উমর (রাযিঃ) বললেন, এসো, এখন আমি তোমাকে সব ব্যাপারে অবহিত করছি এবং তোমার প্রশ্নগুলোর উত্তর খুলে বলছি।
(১) উহুদের রনাঙ্গণ থেকে তাঁর পালানোর ব্যাপার সম্বন্ধে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ তাঁকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
(২) বদর যুদ্ধে তাঁর অনুপস্থিত থাকার কারণ হচ্ছে এই যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর কন্যা (রুকাইয়া) তাঁর স্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন অসুস্থ। তাই তাঁকে নবী কারীম (ﷺ) বলেছিলেন, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মত তুমি সাওয়াব লাভ করবে এবং গনীমতের অংশ পাবে।
(৩) বায়‘আতে রিদওয়ান থেকে তাঁর অনুপস্থিত থাকার কারণ হল এই যে, মক্কাবাসীদের নিকট উসমান ইবনে আফফান (রাযিঃ) থেকে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তি থাকলে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাকে মক্কা পাঠাতেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এ জন্য উসমান (রাযিঃ)-কে (মক্কা) পাঠালেন। তাঁর মক্কা গমনের পরই বায়‘আতে রিদওয়ান সংঘটিত হয়েছিল। তাই (বায়‘আত গ্রহণের সময়) নবী কারীম (ﷺ) তাঁর ডান হাতখানা অপর হাতের উপর রেখে বলেছিলেন, এটাই উসমানের হাত।
এরপর তিনি (আব্দুল্লাহ ইবনে উমর) বললেন, এই হল উসমান (রাযিঃ)-এর অনুপস্থিতির মূল কারণ। এখন তুমি যাও এবং এই কথাগুলো মনে গেঁথে রেখো।
