আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪০২৩
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭৩১। ইসহাক ইবনে মনসুর (রাহঃ) .... জুবাইর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী কারীম (ﷺ)-কে মাগরিবের নামাযে সূরা তুর পড়তে শুনেছি। এ ঘটনা থেকেই সর্বপ্রথম আমার হৃদয়ে ঈমান বদ্ধমূল হয়।
(অপর এক সনদে) যুহরী (রাহঃ) মুহাম্মাদ ইবনে জুবাইর ইবনে মুত‘ঈমের মাধ্যমে তার পিতা জুবাইর ইবনে মুত‘ঈম (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী কারীম (ﷺ) বদরের যুদ্ধবন্দীদের সম্পর্কে বলেছেন, মুত‘ঈম ইবনে আদী যদি বেচে থাকতেন-(১) আর এসব কদর্য লোকদের সম্পর্কে যদি আমার নিকট সুপারিশ করতেন, তাহলে তার খাতিরে এদেরকে আমি (মুক্তিপণ ব্যতীতই) ছেড়ে দিতাম।
লাঈস ইয়াহয়ার সূত্রে সা‘ঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, প্রথম ফিতনা-(২) অর্থাৎ উসমানের হত্যাকান্ড সংঘটিত হবার পর বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীদের আর কেউ অবশিষ্ট ছিলেন না। দ্বিতীয়-(৩) ফিতনা তথা হারবার ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর হুদায়বিয়ার সন্ধিকালিন সময়ে কোন সাহাবীই আর বাকী ছিলেন না। এরপর তৃতীয়-(৪) ফিতনা সংঘটিত হওয়ার পর তা কখনো শেষ হয়নি, যতদিন মানুষের মধ্যে আকল ও কল্যাণকামিতা বিদ্যমান ছিল।
-(১) মুত‘ঈম ইবনে আদী নবী কারীম (ﷺ)-এর দাদার চাচাতো ভাই ছিলেন। তিনিই তায়েফ থেকে মক্কায় প্রত্যাবর্তনের পর নবী কারীম (ﷺ) -কে আশ্রয় দিয়ে ছিলেন। মমত্ববোধের কারণেই তিনি তার সম্পর্কে একথা বলেছেন।
-(২)তৃতীয় খলীফা উসমান (রাযিঃ) ইয়াহুদী সন্তান মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা কর্তৃক উসকিয়ে দেয়া মিসরবাসী কতিপয় বিদ্রোহী লোকের হাতে উনপঞ্চাশ দিন কিংবা দুই মাস বিশ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ৮ই যিলহজ্জ জুমআর দিন এ পৃথিবী থেকে চিরবিদায় গ্রহণ করেন।
-(৩)হাররা মদীনার নিকটবর্তী কাল পাথরবিশিষ্ট একটি জায়গার নাম। এখানেই ৬৩ হিজরী সনের যিলহজ্জ মাসে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল। অর্থাৎ মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর পুত্র ইয়াযীদের শাসন আমলে তারই নির্দেশে তার সেনাবাহিনী মদীনায় ত্রাসের রাজ্ত্ব কায়েম করে এবং ব্যাপক গণহত্যা ও লুটতরাজ আরম্ভ করে। এমনকি তারা মসজিদে নববীকে আস্তাবলে পরিণত করে। ফলে মসজিদে নববীতে কয়েকদিন পর্যন্ত নামাযের জামাআত কায়েম করা সম্ভব হয়নি।
-(৪)এ ফিত্নাটি কারো মতে ১৩০ হিজরী সনে মারওয়ান ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে মারওয়ান ইবনে হাযামের খিলাফতকালে সংঘটিত আবু হামযা খারিজীর ফিত্না। আবার কারো মতে ৭৪ হিজরী সনে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ কর্তৃক আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ)-কে হত্যা করা ও কাবা ঘর ধ্বংস করার ফিত্না।
(অপর এক সনদে) যুহরী (রাহঃ) মুহাম্মাদ ইবনে জুবাইর ইবনে মুত‘ঈমের মাধ্যমে তার পিতা জুবাইর ইবনে মুত‘ঈম (রাযিঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী কারীম (ﷺ) বদরের যুদ্ধবন্দীদের সম্পর্কে বলেছেন, মুত‘ঈম ইবনে আদী যদি বেচে থাকতেন-(১) আর এসব কদর্য লোকদের সম্পর্কে যদি আমার নিকট সুপারিশ করতেন, তাহলে তার খাতিরে এদেরকে আমি (মুক্তিপণ ব্যতীতই) ছেড়ে দিতাম।
লাঈস ইয়াহয়ার সূত্রে সা‘ঈদ ইবনে মুসায়্যিব (রাহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, প্রথম ফিতনা-(২) অর্থাৎ উসমানের হত্যাকান্ড সংঘটিত হবার পর বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীদের আর কেউ অবশিষ্ট ছিলেন না। দ্বিতীয়-(৩) ফিতনা তথা হারবার ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর হুদায়বিয়ার সন্ধিকালিন সময়ে কোন সাহাবীই আর বাকী ছিলেন না। এরপর তৃতীয়-(৪) ফিতনা সংঘটিত হওয়ার পর তা কখনো শেষ হয়নি, যতদিন মানুষের মধ্যে আকল ও কল্যাণকামিতা বিদ্যমান ছিল।
-(১) মুত‘ঈম ইবনে আদী নবী কারীম (ﷺ)-এর দাদার চাচাতো ভাই ছিলেন। তিনিই তায়েফ থেকে মক্কায় প্রত্যাবর্তনের পর নবী কারীম (ﷺ) -কে আশ্রয় দিয়ে ছিলেন। মমত্ববোধের কারণেই তিনি তার সম্পর্কে একথা বলেছেন।
-(২)তৃতীয় খলীফা উসমান (রাযিঃ) ইয়াহুদী সন্তান মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা কর্তৃক উসকিয়ে দেয়া মিসরবাসী কতিপয় বিদ্রোহী লোকের হাতে উনপঞ্চাশ দিন কিংবা দুই মাস বিশ দিন অবরুদ্ধ থাকার পর ৮ই যিলহজ্জ জুমআর দিন এ পৃথিবী থেকে চিরবিদায় গ্রহণ করেন।
-(৩)হাররা মদীনার নিকটবর্তী কাল পাথরবিশিষ্ট একটি জায়গার নাম। এখানেই ৬৩ হিজরী সনের যিলহজ্জ মাসে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল। অর্থাৎ মুআবিয়া (রাযিঃ)-এর পুত্র ইয়াযীদের শাসন আমলে তারই নির্দেশে তার সেনাবাহিনী মদীনায় ত্রাসের রাজ্ত্ব কায়েম করে এবং ব্যাপক গণহত্যা ও লুটতরাজ আরম্ভ করে। এমনকি তারা মসজিদে নববীকে আস্তাবলে পরিণত করে। ফলে মসজিদে নববীতে কয়েকদিন পর্যন্ত নামাযের জামাআত কায়েম করা সম্ভব হয়নি।
-(৪)এ ফিত্নাটি কারো মতে ১৩০ হিজরী সনে মারওয়ান ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে মারওয়ান ইবনে হাযামের খিলাফতকালে সংঘটিত আবু হামযা খারিজীর ফিত্না। আবার কারো মতে ৭৪ হিজরী সনে হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ কর্তৃক আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রাযিঃ)-কে হত্যা করা ও কাবা ঘর ধ্বংস করার ফিত্না।


বর্ণনাকারী: