মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৯- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়

হাদীস নং: ২১৯২
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - (কুরআন অধ্যয়ন ও তিলাওয়াতের আদব)
২১৯২। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আল্লাহ্ তা'আলা কান পাতিয়া শুনেন না কোন কথাকে, যত না কান পাতিয়া শুনেন কোন নবীর সুর করিয়া কোরআন পড়াকে। মোত্তাঃ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَا أَذِنَ اللَّهُ لِشَيْءٍ مَا أَذِنَ لِنَبِيٍّ يَتَغَنَّى بِالْقُرْآنِ»

হাদীসের ব্যাখ্যা:

'আল্লাহর কান পাতিয়া শুনা'—অর্থাৎ, পছন্দ করা। 'সুর করিয়া পড়া'—অর্থাৎ, তাজবীদের নিয়মানুযায়ী খুব সুন্দর করিয়া পড়া, যাহাতে মানুষের অন্তর বিগলিত হয় এবং উহাতে খোদাভীতির সঞ্চার হয়। আর ইহা হইল আরবদের স্বাভাবিক সুরে পড়া এবং যেখানে জিজ্ঞাসা আছে, সেখানে জিজ্ঞাসার স্বরে, যেখানে আদেশ বা নিষেধ আছে, সেখানে আদেশ বা নিষেধের স্বরে এবং যেখানে ধমক আছে, সেখানে ধমকের স্বরে পড়া। বাজনার তালের সাথে মিল করিয়া পড়া কোরআনকে বিগড়ানোরই নামান্তর। আজকাল কোন কোন লোক এভাবে পড়িতে আরম্ভ করিয়াছে। মিসরীরাই এ ব্যাপারে আগে আগে। আমাদের দেশের লোকেরা – জিজ্ঞাসা, আদেশ নিষেধ বা ধমকের স্বরের মধ্যে কোনই পার্থক্য করে না। সকল স্থানেই একটানা সমানভাবে পড়িয়া যায়। এ উভয় দিকই দূষণীয় এবং বর্জনীয়।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান