আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৪০০৩
২১৭৩. বদর যুদ্ধে ফিরিশতাদের অংশগ্রহণ
৩৭১৩। আবদান ও আহমাদ ইবনে সালিহ (রাহঃ) .... আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের গনীমতের মাল থেকে আমার অংশে আমি একটি উট পেয়েছিলাম। ‘ফায়’ থেকে প্রাপ্ত এক পঞ্চমাংশ থেকেও সেদিন নবী কারীম (ﷺ) আমাকে একটি উট প্রদান করেন। আমি যখন নবী কারীম (ﷺ)- এর কন্যা ফাতিমার সাথে বাসর রাত যাপন করার ইচ্ছা করলাম এবং বনু কায়নুকা গোত্রের এক ইয়াহুদী স্বর্ণকারকে ঠিক করলাম যেন সে আমার সাথে যায়। (সেখান থেকে) আমরা ইযখির ঘাস সংগ্রহ করে নিয়ে আসব। পরে ঐ ঘাস স্বর্ণকারদের নিকট বিক্রি করে তা আমি আমার বিয়ের ওলীমায় খরচ করার ইচ্ছা করেছিলাম (একদা ঐ কার্যে যাত্রা করার জন্য) আমি আমার উট দু’টোর জন্য গদি, বস্তা এবং দড়ি ব্যবস্থা করেছিলাম আর উট দু’টো এক আনসারী ব্যক্তির ঘরের পার্শ্বে বসানো ছিল। আমার যা কিছু সংগ্রহ করার তা সংগ্রহ করে নিয়ে এসে দেখলাম উট দু’টির চুট কেঁটে ফেলা হয়েছে এবং সে দু’টির বক্ষ বিদীর্ণ করে কলিজা খুলে নেয়া হয়েছে।
এ দৃশ্য দেখে আমি আমার অশ্রু সংবরণ করতে পারলাম না। আমি (নিকটস্থ লোকদেরকে) জিজ্ঞাসা করলাম, এ কাজ কে করেছে? তারা বললেন, আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র হামযা এ কাজ করেছেন। এখন তিনি এ ঘরে আনসারদের কিছু মদ্যপায়ীদের সাথে মদপান করছেন। সেখানে একদল গায়িকা ও কপিতয় সঙ্গী সাথী। (মদ্যপানের সময়) গায়িকা ও তার সঙ্গীগণ গানের ভেতর বলেছিল, “হে হামযা! মোটা উষ্ট্রদ্বয়ের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়”। একথা শুনে হামযা দৌড়িয়ে গিয়ে তলোয়ার হাতে নিল এবং উষ্ট্রদ্বয়ের চুট দু’টো কেঁটে নিল আর তাদের পেট চিরে কলীজা বের করে নিয়ে আসল। আলী (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি পথ চলতে চলতে নবী কারীম (ﷺ) -এর নিকট চলে গেলাম। তখন তাঁর নিকট যায়দ ইবনে হারিস (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন। নবী কারীম (ﷺ) (আমাকে দেখামাত্রই) আমি যে বিপদের সম্মুখীন হয়েছি তা বুঝে ফেললেন।
তিনি আমাকে বললেন, তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজকের মত বেদনাদায়ক ঘটনা আমি কখনো দেখিনি। হামযা আমার উট দু’টোর উপর খুব যুলুম করেছেন, তিনি উট দু’টোর চুট কেঁটে ফেলেছেন এবং বক্ষ বিদীর্ণ করেছেন। এখন তিনি একটি ঘরে একদল মদ্যপায়ীদের সাথে অবস্থান করছেন। তখন নবী কারীম (ﷺ) তাঁর চাঁদরখানা চেয়ে নিলেন এবং তা গায়ে দিয়ে হেঁটে রওয়ানা হলেন।
(আলী বলেন) এরপর আমি এবং যায়দ ইবনে হারিস (রাযিঃ) তাঁকে অনুসরণ করলাম। (হাঁটতে হাঁটতে) তিনি যে ঘরে হামযা অবস্থান করছিলেন সে ঘরের কাছে পৌঁছে তার নিকট অনুমতি চাইলেন। তাঁকে অনুমতি দেয়া হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হামযাকে তার কৃতকর্মের জন্য ভৎর্সনা করতে শুরু করলেন। হামযা তখন নেশাগ্রস্ত। চোখ দু’টো তার লাল। তিনি নবী কারীম (ﷺ)- এর প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন এবং দৃষ্টি উপর দিকে উঠিয়ে তিনি নবী কারীম (ﷺ)- এর হাটুর দিকে তাকালেন। এরপর দৃষ্টি আরো একটু উপরে দিকে উঠিয়ে তিনি তাঁর চেহারার প্রতি তাকালেন। এরপর হামযা বললেন, তোমরা তো আমার পিতার দাস। (এ কথা শুনে) নবী কারীম (ﷺ) বুঝলেন যে, তিনি এখন নেশাগ্রস্ত। তাই রাসূল (ﷺ) পেছনের দিকে হটে (সেখান থেকে) বেরিয়ে পড়লেন, আমরাও তাঁর সাথে সাথে বেড়িয়ে পড়লাম।
এ দৃশ্য দেখে আমি আমার অশ্রু সংবরণ করতে পারলাম না। আমি (নিকটস্থ লোকদেরকে) জিজ্ঞাসা করলাম, এ কাজ কে করেছে? তারা বললেন, আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র হামযা এ কাজ করেছেন। এখন তিনি এ ঘরে আনসারদের কিছু মদ্যপায়ীদের সাথে মদপান করছেন। সেখানে একদল গায়িকা ও কপিতয় সঙ্গী সাথী। (মদ্যপানের সময়) গায়িকা ও তার সঙ্গীগণ গানের ভেতর বলেছিল, “হে হামযা! মোটা উষ্ট্রদ্বয়ের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়”। একথা শুনে হামযা দৌড়িয়ে গিয়ে তলোয়ার হাতে নিল এবং উষ্ট্রদ্বয়ের চুট দু’টো কেঁটে নিল আর তাদের পেট চিরে কলীজা বের করে নিয়ে আসল। আলী (রাযিঃ) বলেন, তখন আমি পথ চলতে চলতে নবী কারীম (ﷺ) -এর নিকট চলে গেলাম। তখন তাঁর নিকট যায়দ ইবনে হারিস (রাযিঃ) উপস্থিত ছিলেন। নবী কারীম (ﷺ) (আমাকে দেখামাত্রই) আমি যে বিপদের সম্মুখীন হয়েছি তা বুঝে ফেললেন।
তিনি আমাকে বললেন, তোমার কি হয়েছে? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আজকের মত বেদনাদায়ক ঘটনা আমি কখনো দেখিনি। হামযা আমার উট দু’টোর উপর খুব যুলুম করেছেন, তিনি উট দু’টোর চুট কেঁটে ফেলেছেন এবং বক্ষ বিদীর্ণ করেছেন। এখন তিনি একটি ঘরে একদল মদ্যপায়ীদের সাথে অবস্থান করছেন। তখন নবী কারীম (ﷺ) তাঁর চাঁদরখানা চেয়ে নিলেন এবং তা গায়ে দিয়ে হেঁটে রওয়ানা হলেন।
(আলী বলেন) এরপর আমি এবং যায়দ ইবনে হারিস (রাযিঃ) তাঁকে অনুসরণ করলাম। (হাঁটতে হাঁটতে) তিনি যে ঘরে হামযা অবস্থান করছিলেন সে ঘরের কাছে পৌঁছে তার নিকট অনুমতি চাইলেন। তাঁকে অনুমতি দেয়া হলে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হামযাকে তার কৃতকর্মের জন্য ভৎর্সনা করতে শুরু করলেন। হামযা তখন নেশাগ্রস্ত। চোখ দু’টো তার লাল। তিনি নবী কারীম (ﷺ)- এর প্রতি দৃষ্টিপাত করলেন এবং দৃষ্টি উপর দিকে উঠিয়ে তিনি নবী কারীম (ﷺ)- এর হাটুর দিকে তাকালেন। এরপর দৃষ্টি আরো একটু উপরে দিকে উঠিয়ে তিনি তাঁর চেহারার প্রতি তাকালেন। এরপর হামযা বললেন, তোমরা তো আমার পিতার দাস। (এ কথা শুনে) নবী কারীম (ﷺ) বুঝলেন যে, তিনি এখন নেশাগ্রস্ত। তাই রাসূল (ﷺ) পেছনের দিকে হটে (সেখান থেকে) বেরিয়ে পড়লেন, আমরাও তাঁর সাথে সাথে বেড়িয়ে পড়লাম।
