আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ
হাদীস নং: ৩৭০১
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৯০ - ৩৯৯১
২১৭১. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের মর্যাদা
৩৭০১। কুতায়বা (রাহঃ) .... নাফি (রাহঃ) থেকে বর্ণিত যে, সাঈদ ইবনে যায়দ ইবনে আমর ইবনে নুফায়ল (রাযিঃ) ছিলেন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন সাহাবী। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, ইবনে উমরের নিকট জুমআর দিন এ সুংবাদ পৌঁছলে তিনি সওয়ারী পিঠে আরোহণ করে তাঁকে দেখতে গেলেন। তখন বেলা হয়ে গিয়েছে এবং জুমআর নামাযের সময়ও ঘনিয়ে আসছে দেখে তিনি জুমআর নামায আদায় করতে পারলেন না।
(আর এক সনদে) লাঈস (রাহঃ) .... উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা উমর ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আরকাম আয যুহরী সুবায়া বিনতে হারিস আসলামিয়্যা (রাযিঃ)- এর কাছে গিয়ে তার ঘটনা ও (গর্ভবতী মহিলার ইদ্দত সম্বন্ধে) তার প্রশ্নের উত্তরে রাসূল (ﷺ) তাকে যা বলেছিলেন সে সম্পর্কে পত্র মারফত জিজ্ঞাসা করে জানতে আদেশ করলেন।
এরপর উমর ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উতবাকে লিখে জানালেন যে, সুবাই‘আ বিনতুল হারিস তাকে জানিয়েছেন যে, তিনি বনু আমির ইবনে লুয়াই গোত্রের সা‘দ ইবনে খাওলার স্ত্রী ছিলেন, সা‘দ (রাযিঃ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তিনি বিদায় হজ্জের বছর ইন্তিকাল করেন। তখন তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। তার ইন্তিকালের কিছুদিন পরেই তিনি সন্তান প্রসব করলেন। এরপর নিফাস থেকে পবিত্র হয়েই তিনি বিবাহের পয়গাম দাতাদের উদ্দেশ্যে সাজসজ্জা আরম্ভ করলেন। এ সময় আব্দুদ্দার গোত্রের আবুস সানাবিল ইবনে বা’কাক নামক এক ব্যক্তি তাকে গিয়ে বললেন কি হয়েছে, আমি তোমাকে দেখতে পাচ্ছি যে, তুমি বিবাহের আশায় পয়গাম দাতাদের উদ্দেশ্যে সাজসজ্জা আরম্ভ করে দিয়েছ? আল্লাহর কসম চার মাস দশদিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে তুমি বিবাহ করতে পারবে না।
সুবাই‘আ (রাযিঃ) বলেন, (আবুস সানাবিল আমাকে) এ কথা বলার পর আমি ঠিকঠাক মত কাপড় চোপড় পরিধান করে বিকেল বেলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট গেলাম এবং এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন, যখন আমি বাচ্চা প্রসব করেছি তখন থেকেই আমি হালাল হয়ে গিয়েছি। এরপর তিনি আমাকে বিয়ে করার নির্দেশ দিলেন যদি আমার ইচ্ছা হয়।
(ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন,) আসবাগ (রাহঃ) .... ইউনুসের সূত্রে লাঈসের মতই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। লাঈস (রাহঃ) বলেছেন, ইউনুস ইবনে শিহাব থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, বনু আমির ইবনে লুয়াই গোত্রের আযাদকৃত গোলাম মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে সাওবান আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াস ইবনে বুকায়য়ের পিতা তাকে জানিয়েছেন।
(আর এক সনদে) লাঈস (রাহঃ) .... উবাইদুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে উতবা থেকে বর্ণনা করেন যে, তার পিতা উমর ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আরকাম আয যুহরী সুবায়া বিনতে হারিস আসলামিয়্যা (রাযিঃ)- এর কাছে গিয়ে তার ঘটনা ও (গর্ভবতী মহিলার ইদ্দত সম্বন্ধে) তার প্রশ্নের উত্তরে রাসূল (ﷺ) তাকে যা বলেছিলেন সে সম্পর্কে পত্র মারফত জিজ্ঞাসা করে জানতে আদেশ করলেন।
এরপর উমর ইবনে আব্দুল্লাহ ইবনে আরকাম (রাযিঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উতবাকে লিখে জানালেন যে, সুবাই‘আ বিনতুল হারিস তাকে জানিয়েছেন যে, তিনি বনু আমির ইবনে লুয়াই গোত্রের সা‘দ ইবনে খাওলার স্ত্রী ছিলেন, সা‘দ (রাযিঃ) বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছিলেন। তিনি বিদায় হজ্জের বছর ইন্তিকাল করেন। তখন তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। তার ইন্তিকালের কিছুদিন পরেই তিনি সন্তান প্রসব করলেন। এরপর নিফাস থেকে পবিত্র হয়েই তিনি বিবাহের পয়গাম দাতাদের উদ্দেশ্যে সাজসজ্জা আরম্ভ করলেন। এ সময় আব্দুদ্দার গোত্রের আবুস সানাবিল ইবনে বা’কাক নামক এক ব্যক্তি তাকে গিয়ে বললেন কি হয়েছে, আমি তোমাকে দেখতে পাচ্ছি যে, তুমি বিবাহের আশায় পয়গাম দাতাদের উদ্দেশ্যে সাজসজ্জা আরম্ভ করে দিয়েছ? আল্লাহর কসম চার মাস দশদিন অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে তুমি বিবাহ করতে পারবে না।
সুবাই‘আ (রাযিঃ) বলেন, (আবুস সানাবিল আমাকে) এ কথা বলার পর আমি ঠিকঠাক মত কাপড় চোপড় পরিধান করে বিকেল বেলা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর নিকট গেলাম এবং এ সম্পর্কে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন, যখন আমি বাচ্চা প্রসব করেছি তখন থেকেই আমি হালাল হয়ে গিয়েছি। এরপর তিনি আমাকে বিয়ে করার নির্দেশ দিলেন যদি আমার ইচ্ছা হয়।
(ইমাম বুখারী (রাহঃ) বলেন,) আসবাগ (রাহঃ) .... ইউনুসের সূত্রে লাঈসের মতই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। লাঈস (রাহঃ) বলেছেন, ইউনুস ইবনে শিহাব থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। ইবনে শিহাব (রাহঃ) বলেন, বনু আমির ইবনে লুয়াই গোত্রের আযাদকৃত গোলাম মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে সাওবান আমাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াস ইবনে বুকায়য়ের পিতা তাকে জানিয়েছেন।
باب فَضْلُ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا لَيْثٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ نَافِعٍ، أَنَّ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ ذُكِرَ لَهُ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ ـ وَكَانَ بَدْرِيًّا ـ مَرِضَ فِي يَوْمِ جُمُعَةٍ فَرَكِبَ إِلَيْهِ بَعْدَ أَنْ تَعَالَى النَّهَارُ وَاقْتَرَبَتِ الْجُمُعَةُ، وَتَرَكَ الْجُمُعَةَ
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، كَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ الزُّهْرِيِّ، يَأْمُرُهُ أَنْ يَدْخُلَ، عَلَى سُبَيْعَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الأَسْلَمِيَّةِ، فَيَسْأَلَهَا عَنْ حَدِيثِهَا وَعَنْ مَا قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ اسْتَفْتَتْهُ، فَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ يُخْبِرُهُ أَنَّ سُبَيْعَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ سَعْدِ ابْنِ خَوْلَةَ، وَهْوَ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ، وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا، فَتُوُفِّيَ عَنْهَا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهْىَ حَامِلٌ، فَلَمْ تَنْشَبْ أَنْ وَضَعَتْ حَمْلَهَا بَعْدَ وَفَاتِهِ، فَلَمَّا تَعَلَّتْ مِنْ نِفَاسِهَا تَجَمَّلَتْ لِلْخُطَّابِ، فَدَخَلَ عَلَيْهَا أَبُو السَّنَابِلِ بْنُ بَعْكَكٍ ـ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ ـ فَقَالَ لَهَا مَا لِي أَرَاكِ تَجَمَّلْتِ لِلْخُطَّابِ تُرَجِّينَ النِّكَاحَ فَإِنَّكِ وَاللَّهِ مَا أَنْتِ بِنَاكِحٍ حَتَّى تَمُرَّ عَلَيْكِ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ. قَالَتْ سُبَيْعَةُ فَلَمَّا قَالَ لِي ذَلِكَ جَمَعْتُ عَلَىَّ ثِيَابِي حِينَ أَمْسَيْتُ، وَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَأَفْتَانِي بِأَنِّي قَدْ حَلَلْتُ حِينَ وَضَعْتُ حَمْلِي، وَأَمَرَنِي بِالتَّزَوُّجِ إِنْ بَدَا لِي. تَابَعَهُ أَصْبَغُ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ. وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، وَسَأَلْنَاهُ، فَقَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، مَوْلَى بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِيَاسِ بْنِ الْبُكَيْرِ، وَكَانَ، أَبُوهُ شَهِدَ بَدْرًا أَخْبَرَهُ.
وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ أَبَاهُ، كَتَبَ إِلَى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ الزُّهْرِيِّ، يَأْمُرُهُ أَنْ يَدْخُلَ، عَلَى سُبَيْعَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ الأَسْلَمِيَّةِ، فَيَسْأَلَهَا عَنْ حَدِيثِهَا وَعَنْ مَا قَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ اسْتَفْتَتْهُ، فَكَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الأَرْقَمِ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ يُخْبِرُهُ أَنَّ سُبَيْعَةَ بِنْتَ الْحَارِثِ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ سَعْدِ ابْنِ خَوْلَةَ، وَهْوَ مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ، وَكَانَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا، فَتُوُفِّيَ عَنْهَا فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ وَهْىَ حَامِلٌ، فَلَمْ تَنْشَبْ أَنْ وَضَعَتْ حَمْلَهَا بَعْدَ وَفَاتِهِ، فَلَمَّا تَعَلَّتْ مِنْ نِفَاسِهَا تَجَمَّلَتْ لِلْخُطَّابِ، فَدَخَلَ عَلَيْهَا أَبُو السَّنَابِلِ بْنُ بَعْكَكٍ ـ رَجُلٌ مِنْ بَنِي عَبْدِ الدَّارِ ـ فَقَالَ لَهَا مَا لِي أَرَاكِ تَجَمَّلْتِ لِلْخُطَّابِ تُرَجِّينَ النِّكَاحَ فَإِنَّكِ وَاللَّهِ مَا أَنْتِ بِنَاكِحٍ حَتَّى تَمُرَّ عَلَيْكِ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ. قَالَتْ سُبَيْعَةُ فَلَمَّا قَالَ لِي ذَلِكَ جَمَعْتُ عَلَىَّ ثِيَابِي حِينَ أَمْسَيْتُ، وَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَسَأَلْتُهُ عَنْ ذَلِكَ، فَأَفْتَانِي بِأَنِّي قَدْ حَلَلْتُ حِينَ وَضَعْتُ حَمْلِي، وَأَمَرَنِي بِالتَّزَوُّجِ إِنْ بَدَا لِي. تَابَعَهُ أَصْبَغُ عَنِ ابْنِ وَهْبٍ عَنْ يُونُسَ. وَقَالَ اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، وَسَأَلْنَاهُ، فَقَالَ أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ ثَوْبَانَ، مَوْلَى بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ إِيَاسِ بْنِ الْبُكَيْرِ، وَكَانَ، أَبُوهُ شَهِدَ بَدْرًا أَخْبَرَهُ.
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হযরত ইবনে উমার রা.-এর আমল থেকে প্রমাণিত হয় যে, মুসাফিরের জন্য জুমআর নামায জরুরী নয়। আরো প্রমাণিত হয় যে, সফরে গেলে জুমআ ছুটে যাওয়ার আশঙ্কায় সফর বন্ধ করা আবশ্যক নয়। এ বিষয়ে হযরত উসামা বিন উমায়ের রা. থেকে সহীহ সনদে আরো বর্ণিত আছে যে, রসূল স. হুদায়বিয়ার সফরে জুমআর দিন হালকা বৃষ্টির কারণে সাহাবায়ে কিরামকে ছাউনীতে নামায পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন যা জুমআ হতে পারে না; বরং তা জোহর ছিলো। (আবু দাউদ-১০৫৯)
ইমাম ইবনে খুযায়মা তাঁর সহীহ ইবনে খুযায়মায় এ হাদীসটিকে সফরে জুমআর নামায পরিত্যাগ করা বৈধ শিরোনামে বর্ণনা করেছেন। (সহীহ ইবনে খুযায়মা-১৬৫৫ নং হাদীসের শিরোনাম) এ থেকেও প্রমাণিত হয় যে, উক্ত হাদীসটিতে জুমআর নামায পরিত্যাগের যে প্রমাণ পাওয়া যায় তার কারণ হলো রসূল স. ও সাহাবায়ে কিরামের সফরে থাকা।
ফায়দা : মুসাফিরের জন্য জুমআর নামায জরুরী না হওয়ার বিষয়টি সুনানে বায়হাকী-৫৬৫৩, মু’জামে কাবীর লিত্ তবারানী-১২৫৭, দারাকুতনী-১৫৭৬ এবং দারাকুতনী-১৫৮২ নং হাদীসেও বর্ণিত হয়েছে। মুল্লা আলী কারী রহ. বলেন, وَعَنْ مُحَمَّدٍ: إِنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَعَلَيْهِ الْجُمُعَةُ اهـ. وَلَا تَلْزَمُ مُسَافِرًا بِالِاتِّفَاقِ ইমাম মুহাম্মাদ রহ. থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি আযান শুনবে তাঁর উপর জুমআর নামায জরুরী। তবে সর্বসম্মতভাবে মুসাফিরের জন্য জুমআর নামায জরুরী নয়। (মিরকাত, অধ্যায়: জুমআ) আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/১৫৩)
ইমাম ইবনে খুযায়মা তাঁর সহীহ ইবনে খুযায়মায় এ হাদীসটিকে সফরে জুমআর নামায পরিত্যাগ করা বৈধ শিরোনামে বর্ণনা করেছেন। (সহীহ ইবনে খুযায়মা-১৬৫৫ নং হাদীসের শিরোনাম) এ থেকেও প্রমাণিত হয় যে, উক্ত হাদীসটিতে জুমআর নামায পরিত্যাগের যে প্রমাণ পাওয়া যায় তার কারণ হলো রসূল স. ও সাহাবায়ে কিরামের সফরে থাকা।
ফায়দা : মুসাফিরের জন্য জুমআর নামায জরুরী না হওয়ার বিষয়টি সুনানে বায়হাকী-৫৬৫৩, মু’জামে কাবীর লিত্ তবারানী-১২৫৭, দারাকুতনী-১৫৭৬ এবং দারাকুতনী-১৫৮২ নং হাদীসেও বর্ণিত হয়েছে। মুল্লা আলী কারী রহ. বলেন, وَعَنْ مُحَمَّدٍ: إِنْ سَمِعَ النِّدَاءَ فَعَلَيْهِ الْجُمُعَةُ اهـ. وَلَا تَلْزَمُ مُسَافِرًا بِالِاتِّفَاقِ ইমাম মুহাম্মাদ রহ. থেকে বর্ণিত, যে ব্যক্তি আযান শুনবে তাঁর উপর জুমআর নামায জরুরী। তবে সর্বসম্মতভাবে মুসাফিরের জন্য জুমআর নামায জরুরী নয়। (মিরকাত, অধ্যায়: জুমআ) আর এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ২/১৫৩)


বর্ণনাকারী: