আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ

৫০- নবীজীর সাঃ যুদ্ধাভিযানসমূহ

হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯৭৬
২১৭০. আবু জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮৯। আব্দুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রাহঃ) .... আবু তালহা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, বদর যুদ্ধের দিন আল্লাহর নবী (ﷺ)- এর নির্দেশে চব্বিশজন কুরাইশ সর্দারের লাশ বদর প্রান্তরের একটি কদর্য আবর্জনাপূর্ণ কূপে নিক্ষেপ করা হল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কোন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিজয় লাভ করলে সে স্থানের উপকন্ঠে তিনদিন অবস্থান করতেন। সে মতে বদর প্রান্তরে অবস্থানের পর তৃতীয় দিন তিনি তাঁর সওয়ারী প্রস্তুত করার আদেশ দিলেন, সওয়ারী জ্বীন কষে বাঁধা হল। এরপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পদব্রজে (কিছু দূর) এগিয়ে গেলেন। সাহাবাগণও তাঁর পেছনে পেছনে চলেছেন।
তারা বলেন, আমরা মনে করেছিলাম, কোন প্রয়োজনে (হয়ত) তিনি কোথাও যাচ্ছেন। অবশেষে তিনি ঐ কূপের কিনারে গিয়ে দাঁড়ালেন এবং কূঁপে নিক্ষিপ্ত ঐ নিহত ব্যক্তিদের নাম ও তাদের পিতার নাম ধরে এভাবে ডাকতে শুরু করলেন, হে অমুকের পুত্র অমুক, হে অমুকের পুত্র অমুক! তোমরা কি এখন অনুভব করতে পারছ যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য তোমাদের জন্য পরম খুশীর বস্তু ছিল? আমাদের প্রতিপালক আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আমরা তো তা সত্য পেয়েছি, তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে যা বলেছিলেন তোমরাও তা সত্য পেয়েছ কি? বর্ণনাকারী বলেন, (এ কথা শুনে) উমর (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আপনি আত্মাহীন দেহগুলোকে সম্বোধন করে কি কথা বলছেন?
নবী কারীম (ﷺ) বললেন, ঐ মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ, আমি যা বলছি তা তাদের তুলনায় তোমরা অধিক শ্রবণ করছ না। কাতাদা বলেন, আল্লাহ তাঁর (রাসূল (ﷺ) -এর কথা শোনাতে) তাদের ধমকি, লাঞ্ছনা, দুঃখ-কষ্ট, আফসোস এবং লজ্জা দেওয়ার জন্য (সাময়িকভাবে) দেহে প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন।
tahqiqতাহকীক:তাহকীক নিষ্প্রয়োজন