আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং:
আন্তর্জাতিক নং: ৩৯১৭
২১৫৪. নবী কারীম (ﷺ) এবং সাহাবীদের মদীনা হিজরত।
৩৬৩৫। আহমদ ইবনে উসমান (রাহঃ) .... আবু ইসহাক (রাহঃ) বলেন, আমি বারা (রাযিঃ)- কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আবু বকর (রাযিঃ) আমার পিতা আযিব (রাযিঃ)- এর নিকট হাওদা খরিদ করলেন। আমি আবু বকরের সাথে খরীদা হওদাটি বহন করে নিয়ে চললাম। তখন আমার পিতা আযিব (রাযিঃ) নবী কারীম (ﷺ)- এর সহিত তাঁর হিজরতের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন আবু বকর (রাযিঃ) বললেন, আমাদের অনুসন্ধান করার জন্য মুশরিকরা লোক নিয়োগ করেছিল। অবশেষে আমরা রাত্রিকালে বেরিয়ে পড়লাম এবং একরাত ও একদিন অবিরাম চলতে থাকলাম। যখন দুপুর হয়ে গেল, তখন একটি বিরাটকায় (বড়ো আকারের) পাথর নযরে পড়ল। আমরা সেটির কাছে এলাম, পাথরটির কিছু ছায়া পড়ছিল।
আমি সেখানে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর জন্য আমার সঙ্গের চামড়াখানি বিছিয়ে দিলাম। নবী কারীম (ﷺ)- এর উপর শুয়ে পড়লেন। আমি এদিক-ওদিক পর্যবেক্ষণ করার জন্য বেরিয়ে পড়লাম। হঠাৎ এক বকরী রাখালকে দেখতে পেলাম। সে তার বকরীগুলো নিয়ে আসছে। সেও আমাদের মত পাথরের (ছায়ায়) আশ্রয় নিতে চায়। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কার গোলাম? সে বলল, আমি অমুকের। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার বকরীর পালে দুধ আছে কি? সে বলল, হ্যাঁ।
আমি বললাম, তুমি কি (আমাদের জন্য) কিছু দোহন করে দিবে? সে বলল, হ্যাঁ। সে তার পাল থেকে একটি বকরী ধরে নিয়ে এল। আমি বললাম, বকরীর স্তন দু’টি ঝেড়ে মুছে সাফ করে নাও। সে একপাত্র ভর্তি দুধ দোহন করল। আমার সাথে একটি পানির পাত্র ছিল। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর জন্য কাপড় দিয়ে তার মুখ বেধে রেখেছিলাম। আমি তা থেকে দুধের মধ্যে কিছু পানি ঢেলে দিলাম। ফলে পাত্রের তলা পর্যন্ত শীতল হয়ে গেল। আমি তা নিয়ে নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে এসে বললাম, পান করুন ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এতখানি পান করলেন যে, আমি সন্তুষ্ট হলাম। এরপর আমরা রওয়ানা হলাম এবং অনুসন্ধানকারী আমাদের পিছনে ছিল। বারা (রাযিঃ) বলেন, আমি আবু বকরের সঙ্গে তাঁর ঘরে প্রবেশ করলাম। তখন দেখলাম তাঁর মেয়ে আয়েশা (রাযিঃ) বিছানায় শুয়ে আছেন। তাঁর জ্বর হয়েছে। তাঁর পিতা আবু বকর (রাযিঃ)- কে দেখলাম তিনি মেয়ের গালে চুমু খেলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, মা তুমি কেমন আছ?
আমি সেখানে গিয়ে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর জন্য আমার সঙ্গের চামড়াখানি বিছিয়ে দিলাম। নবী কারীম (ﷺ)- এর উপর শুয়ে পড়লেন। আমি এদিক-ওদিক পর্যবেক্ষণ করার জন্য বেরিয়ে পড়লাম। হঠাৎ এক বকরী রাখালকে দেখতে পেলাম। সে তার বকরীগুলো নিয়ে আসছে। সেও আমাদের মত পাথরের (ছায়ায়) আশ্রয় নিতে চায়। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কার গোলাম? সে বলল, আমি অমুকের। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার বকরীর পালে দুধ আছে কি? সে বলল, হ্যাঁ।
আমি বললাম, তুমি কি (আমাদের জন্য) কিছু দোহন করে দিবে? সে বলল, হ্যাঁ। সে তার পাল থেকে একটি বকরী ধরে নিয়ে এল। আমি বললাম, বকরীর স্তন দু’টি ঝেড়ে মুছে সাফ করে নাও। সে একপাত্র ভর্তি দুধ দোহন করল। আমার সাথে একটি পানির পাত্র ছিল। আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)- এর জন্য কাপড় দিয়ে তার মুখ বেধে রেখেছিলাম। আমি তা থেকে দুধের মধ্যে কিছু পানি ঢেলে দিলাম। ফলে পাত্রের তলা পর্যন্ত শীতল হয়ে গেল। আমি তা নিয়ে নবী কারীম (ﷺ)- এর কাছে এসে বললাম, পান করুন ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এতখানি পান করলেন যে, আমি সন্তুষ্ট হলাম। এরপর আমরা রওয়ানা হলাম এবং অনুসন্ধানকারী আমাদের পিছনে ছিল। বারা (রাযিঃ) বলেন, আমি আবু বকরের সঙ্গে তাঁর ঘরে প্রবেশ করলাম। তখন দেখলাম তাঁর মেয়ে আয়েশা (রাযিঃ) বিছানায় শুয়ে আছেন। তাঁর জ্বর হয়েছে। তাঁর পিতা আবু বকর (রাযিঃ)- কে দেখলাম তিনি মেয়ের গালে চুমু খেলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, মা তুমি কেমন আছ?
