মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ১২৪৪
৩৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - কাজে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা
১২৪৪। আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেনঃ তোমাদের যে কোন ব্যক্তির প্রফুল্লতা ও সজীবতা থাকা পর্যন্ত ইবাদাত করা উচিৎ। যখন সে ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন যেন সে বসে পড়ে। (বুখারী, মুসলিম)[1]
بَابُ الْقَصْدِ فِي الْعَمَلِ
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لِيُصَلِّ أَحَدُكُمْ نَشَاطَهُ وَإِذَا فَتَرَ فَلْيَقْعُدْ)

হাদীসের ব্যাখ্যা:

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম মূলনীতি বলে দিলেন যে, ইবাদত করবে ততক্ষণই, যতক্ষণ শরীর-মন প্রফুল্ল থাকে। যখন ক্লান্তি দেখা দেয় তখন শুয়ে পড়বে। ঘুম আসলে ঘুমিয়ে যাবে। তাতে ক্লান্তি দূর হবে। ঘুম আল্লাহ তা'আলার অনেক বড় এক নি'আমত। তাতে ক্লান্তি দূর হয়। তাই এ নি'আমতেরও কদর করা দরকার এবং এটা শরীরের হকও বটে। এক হাদীছে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে, “তোমার উপর তোমার শরীরেরও হক আছে” । ক্ষুধা ও পিপাসা লাগলে পানাহার করা, রোগব্যাধির চিকিৎসা করানো এবং ক্লান্তির সময় বিশ্রাম করা ও ঘুমানো হচ্ছে শরীরের হক। কাজেই ‘ইবাদতরত অবস্থায় যদি ঘুম পায় তবে ঘুমিয়ে পড়া উচিত। তারপর যখন ঘুম ভাঙবে এবং ক্লান্তি দূর হয়ে শরীর-মন চাঙ্গা হয়ে উঠবে, তখন আবার ‘ইবাদত করবে। এটাই 'ইবাদতের নিয়ম।

হাদীস থেকে শিক্ষণীয়ঃ

নফল ইবাদত-বন্দেগীতে বাড়াবাড়ি করা উচিত নয়। যতক্ষণ শরীর-মনে প্রফুল্লতা থাকে, ‘ইবাদত ততক্ষণই করা উচিত।
ব্যাখ্যা সূত্রঃ_ রিয়াযুস সালিহীন (অনুবাদ- মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম হাফি.)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান