মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৭৩
৩০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সুন্নত ও এর ফযীলত
১১৭৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে মাগরিবের পর ছয় রাকআত নামায পড়িয়াছে, ঐ সময়ে উহাদের মধ্যে সে কোন মন্দ বাক্য উচ্চারণ করে নাই, তাহার সেই নামায বার বৎসরের এবাদতের সমান গণ্য করা হইবে। – তিরমিযী
এবং তিরমিযী হাদীসটি হাসান ও গরীব বর্ণনা করিয়া বলেন, ওমর ইবনে আবী খাসআম রাবীর সূত্র ব্যতীত অপর কোন সূত্রে আমরা হাদীসটি অবগত নহি। ইমাম বোখারী তাহাকে মোনকার অভিহিত করিয়াছেন বলিয়া শুনিয়াছি এবং নেহায়েত 'যয়ীফ' বলিয়াছেন।
এবং তিরমিযী হাদীসটি হাসান ও গরীব বর্ণনা করিয়া বলেন, ওমর ইবনে আবী খাসআম রাবীর সূত্র ব্যতীত অপর কোন সূত্রে আমরা হাদীসটি অবগত নহি। ইমাম বোখারী তাহাকে মোনকার অভিহিত করিয়াছেন বলিয়া শুনিয়াছি এবং নেহায়েত 'যয়ীফ' বলিয়াছেন।
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ صَلَّى بَعْدَ الْمَغْرِبِ سِتَّ رَكَعَاتٍ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيمَا بَيْنَهُنَّ بِسُوءٍ عُدِلْنَ لَهُ بِعِبَادَةِ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لَا نَعْرِفُهُ إِلَّا مِنْ حَدِيثِ عمر بن أَبِي خَثْعَمٍ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ: هُوَ مُنكر الحَدِيث وَضَعفه جدا
হাদীসের ব্যাখ্যা:
শায়খ দেহলবী বলেন, ‘মীযানুল এ'তেদাল' কিতাবে তাহাকে হাদীস জালকারী বলা হইয়াছে। অবশ্য হাদীসটি তাবারানী তাঁহার 'মু'জাম' কিতাবত্রয়ে এবং ইবনে খোযায়মা তাঁহার সহীহতে বর্ণনা করিয়াছেন।
মানুষ এই নামাযকে ‘সালাতুল আওয়াবীন' বলে। অথচ হাদীসে এই নামাযকে কোথাও এই নামে উল্লেখ করা হয় নাই। হাদীসে চাশতের নামাযকেই 'সালাতুল আওয়াবীন' বলা হইয়াছে। কিন্তু বুযুর্গানে দ্বীন এই নামায বরাবর পড়িয়া থাকেন।
মানুষ এই নামাযকে ‘সালাতুল আওয়াবীন' বলে। অথচ হাদীসে এই নামাযকে কোথাও এই নামে উল্লেখ করা হয় নাই। হাদীসে চাশতের নামাযকেই 'সালাতুল আওয়াবীন' বলা হইয়াছে। কিন্তু বুযুর্গানে দ্বীন এই নামায বরাবর পড়িয়া থাকেন।
