মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১১৬২
৩০. প্রথম অনুচ্ছেদ - সুন্নত ও এর ফযীলত
১১৬২। তাবেয়ী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে শরীক (রঃ) বলেন, একদা আমি হযরত আয়েশাকে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নফল নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করিলাম। উত্তরে তিনি বলিলেন, হুযুর আমার ধরে যোহরের পূর্বে চার রাকআত নামায পড়িতেন, অতঃপর বাহির হইতেন এবং লোকদিগকে নামায পড়াইতেন। পুনরায় আমার ঘরে প্রবেশ করিতেন এবং দুই রাকআত নামায পড়িতেন। এইরূপে তিনি লোকদিগকে মাগরিবের নামায পড়াইতেন। অতঃপর আমার ঘরে প্রবেশ করিতেন এবং দুই রাকআত নামায পড়িতেন, অতঃপর লোকদিগকে এশার নামায পড়াইতেন। অতঃপর আমার ঘরে প্রবেশ করিয়া দুই রাকআত নামায পড়িতেন। এছাড়া তিনি রাতে নয় রাকআত নামায পড়িতেন বিতিরও যাহার অন্তর্গত ছিল। তিনি কোন কোন সময় দীর্ঘ রাত্রি ধরিয়া দাড়াইয়া নামায পড়িতেন, আবার রাত্রি অনেকক্ষণ ধরিয়া বসিয়াও নামায পড়িতেন; কিন্তু যখন কেরাআত পাড়াইয়া পড়িতেন রুকু এবং সিজদাও দাড়াইয়াই করিতেন এবং যখন কেরাআত বসিয়া পড়িতেন রুকু সিজদাও বসিয়াই করিতেন। যখন সোবহে সাদেক আরম্ভ হইত, দুই রাকআত (সুন্নত) নামায পড়িতেন। — মুসলিম আবু দাউদের বর্ণনায় ইহাও রহিয়াছে যে, অতঃপর তিনি মসজিদে যাইতেন এবং লোক দিগকে ফজরের নামায পড়াইতেন।
بَابُ السُّنَنِ وَقَضَائِلِهَا
وَعَن عبد الله بن شَقِيق قَالَ: سَأَلْتُ عَائِشَةَ عَنْ صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ تَطَوُّعِهِ فَقَالَتْ: كَانَ يُصَلِّي فِي بَيْتِي قَبْلَ الظُّهْرِ أَرْبَعًا ثُمَّ يَخْرُجُ فَيُصَلِّي بِالنَّاسِ ثُمَّ يَدْخُلُ فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَكَانَ يُصَلِّي بِالنَّاسِ الْمَغْرِبَ ثُمَّ يَدْخُلُ فَيصَلي رَكْعَتَيْنِ وَيُصلي بِالنَّاسِ الْعِشَاءَ وَيَدْخُلُ بَيْتِي فَيُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ وَكَانَ يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ تِسْعَ رَكَعَاتٍ فِيهِنَّ الْوَتْرُ وَكَانَ يُصَلِّي لَيْلًا طَوِيلًا قَائِمًا وَلَيْلًا طَوِيلًا قَاعِدا وَكَانَ إِذَا قَرَأَ وَهُوَ قَائِمٌ رَكَعَ وَسَجَدَ وَهُوَ قَائِم وَإِذا قَرَأَ قَاعِدًا رَكَعَ وَسَجَدَ وَهُوَ قَاعِدٌ وَكَانَ إِذَا طَلَعَ الْفَجْرُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ. وَزَادَ أَبُو دَاوُدَ: ثُمَّ يَخْرُجُ فَيُصَلِّي بِالنَّاسِ صَلَاة الْفجْر
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীস হইতেও সুন্নতে মোআক্কাদা বার রাকআতই বুঝা যায়। রাতের নামায অর্থে এখানে তাহাজ্জুদের নামাযকেই বুঝান হইয়াছে। তাহাজ্জুদ ও বিতির নামাযের বিস্তারিত বিবরণ স্ব স্ব অধ্যায়ে আসিতেছে।
