মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ১০৫৩
২৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - জামাআত ও তার ফযীলত সম্পর্কে
১০৫৩। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহর কসম! আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে, লাকড়ি জমা করতে নির্দেশ দিব এই উদ্দেশ্যে যে, আমি নামাযের আযান দিতে বলব। আযান দেওয়া হলে আমি কাউকে লোকদের ইমামতি করতে বলব। সে ইমামতি করবে আর আমি লোকদের বাড়ী বাড়ী গমন করব। বর্ণনাত্তরে রয়েছে, যারা জামাতে উপস্থিত হয় নি এবং তাদেরসহ তাদের গৃহে আগুন লাগিয়ে দিব। সেই আল্লাহর কসম! যার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে। যদি তাদের কেউ একটি গোশতযুক্ত হাড়ের অথবা দুইটি ভাল ক্ষুরের খবর পেত তা হলে এশার নামাযে উপস্থিত হতো। -বুখারী
মুসলিমের বর্ণনাও প্রায় অনুরূপ।
মুসলিমের বর্ণনাও প্রায় অনুরূপ।
بَابُ الْجَمَاعَةِ وَفَضْلِهَا
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِحَطَبٍ فَيُحْطَبَ ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلَاةِ فَيُؤَذَّنَ لَهَا ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيَؤُمَّ النَّاسَ ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ. وَفِي رِوَايَةٍ: لَا يَشْهَدُونَ الصَّلَاةَ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ يَعْلَمُ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَرْقًا سَمِينًا أَوْ مِرْمَاتَيْنِ حَسَنَتَيْنِ لَشَهِدَ الْعِشَاءَ . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ وَلمُسلم نَحوه
হাদীসের ব্যাখ্যা:
হাদীসের ভাষ্য মোতাবেক আযান শুনেও যারা মাসজিদে না যায় রসূল স. তাদের ঘর-বাড়ী আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়ার ধমকি দিয়েছেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ফরয নামায জামাতে আদায় করা একান্ত জরুরী।
মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে, এক অন্ধ ব্যক্তি রসূল স.-এর নিকট এসে মাসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে নামায পড়ার অনুমতি চাইলে রসূল স. তাকে অনুমতি দেননি। (মুসলিম-১৩৬১)
মুসলিম শরীফের এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে যে, এক অন্ধ ব্যক্তি রসূল স.-এর নিকট এসে মাসজিদে না গিয়ে বাড়ীতে নামায পড়ার অনুমতি চাইলে রসূল স. তাকে অনুমতি দেননি। (মুসলিম-১৩৬১)
