মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৯৪২
১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাশাহুদের মধ্যে দুআ
৯৪২। হযরত আবুবকর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ)। আমাকে একটি দোয়া শিখিয়ে দিন যা আমি নামাযের মধ্যে পড়তে পারি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, বল হে আল্লাহ্! আমি আমার প্রতি অসংখ্য জুলুম করেছি এবং তুমি ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করবার আর কেউ নেই; সুতরাং তোমার নিজ গুণে আমার গুনাহ মার্জনা কর এবং আমার উপর দয়া কর। কেননা তুমি মার্জনাকারী, দয়ালু। -বুখারী, মুসলিম
بَابُ الدُّعَاءِ فِي التَّشَهُّدِ
وَعَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّهُ قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ عَلِّمْنِي دُعَاءً أَدْعُو بِهِ فِي صَلَاتِي قَالَ: «قُلْ اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عنْدك وارحمني إِنَّك أَنْت الغفور الرَّحِيم»
হাদীসের ব্যাখ্যা:
নামাযের শেষ বৈঠকে দুরূদের পরে আরবী ভাষায় নিজের জন্য মাগফিরাত বা রহমত চাওয়া অথবা আখেরাতের কল্যাণ কামনা করা বিষয়ক কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যে কোন দুআ’ করা যেতে পারে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫২১) অবশ্য এ দুআটি পাঠ করা বেশী উত্তম হবে।
