মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৯০৭
১৫. প্রথম অনুচ্ছেদ - তাশাহুদ
৯০৭। বর্ণনান্তরে রয়েছে যখন নামাযের মধ্যে বসতেন, দু'হাত দু'হাঁটুর উপর রাখতেন এবং ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির নিকট যে আঙ্গুল রয়েছে সেইটি উঠাতেন এবং তদ্বারা দোয়া করতেন। আর তাঁর বামহাত হাঁটুর উপর বিছানো থাকত। -মুসলিম
بَابُ التَّشَهُّدِ
وَفِي رِوَايَةٍ: كَانَ إِذَا جَلَسَ فِي الصَّلَاةِ وَضَعَ يَدَيْهِ عَلَى رُكْبَتَيْهِ وَرَفَعَ أُصْبُعَهُ الْيُمْنَى الَّتِي تلِي الْإِبْهَام يَدْعُو بِهَا وَيَدَهُ الْيُسْرَى عَلَى رُكْبَتِهِ بَاسِطَهَا عَلَيْهَا. رَوَاهُ مُسلم

হাদীসের ব্যাখ্যা:

হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাশাহহুদের সময় শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করতে হবে।
ফায়দা : ইশারা কখন করতে হবে এ ব্যাপারে হানাফী মাযহাবের গবেষক ইমামগণ বলেছেন যে, يَرْفَعُهَا عِنْدَ النَّفْيِ وَيَضَعُهَا عِنْدَ الْإِثْبَاتِ. নফী তথা لاَ إِلَهَ বলার সময় উঠাবে। আর ইসবাত তথা إِلَّا الله বলার সময় নামাবে। (শামী: ১/৫০৯) আল্লামা নববী রহ. শাফেয়ী মাযহাবের আমল হিসেবেও প্রায় অনুরূপ পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। (শরহু মুসলিম: ১১৮৫ নম্বর হাদীসের ব্যাখ্যায়, ‘সালাতে বসা ও দুই উরুর উপর দুই হাত রাখার নিয়ম’ অধ্যায়)

ইশারা করার পদ্ধতি হলো: উভয় হাত উভয় উরুর উপর রেখে অনামিকা ও কনিষ্ঠাঙ্গুল বন্ধ করে মধ্যমা ও বৃদ্ধাঙ্গুল দ্বারা বৃত্ত তৈরী করবে। অতঃপর শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা ইশারা করবে। আর আবু দাউদ শরীফের ৯৯০ নাম্বার সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, ইশারার সময় দৃষ্টিও সেদিকে থাকবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫০৯)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান