মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

৫- নামাযের অধ্যায়

হাদীস নং: ৯০১
১৪. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সিজদা্ ও তার মর্যাদা
৯০১। হযরত হোযায়ফাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী পাক (ﷺ) দুই সিজদার মাঝখানে বলতেন, “হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে মাফ কর।” -নাসায়ী
وَعَنْ حُذَيْفَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يَقُولُ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ: «رَبِّ اغْفِرْ لي» . رَوَاهُ النَّسَائِيّ والدارمي

হাদীসের ব্যাখ্যা:

কোন কোন হাদীসে পাওয়া যায় যে, নবী করীম (সা) দুই সিজদার মাঝে اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَارْحَمْنِي وَعَافِنِي وَاهْدِنِي وَارْزُقْنِي দুআটি পড়তেন। এবং হাদীসে বর্ণিত رَبِّ اغْفِرْ لِي দুআটি বারংবার পড়তেন। (ইবনে মাযা-৮৯৭, আবু দাউদ-৮৭৪, নাসাঈ-১০৬৯, মুসনাদে আহমাদ-২৩৩৭৫) মুসনাদে আহমাদের তাহকীকে শায়খ শুআইব আরনাউত রহ. এ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। এ দুটি দুআ ছাড়াও অন্যান্য দুআ হাদীসে বর্ণিত আছে। অতএব, রসূলুল্লাহ স. বা সাহাবায়ে কিরাম যা পড়েছেন অথবা ইমামগণ যেটাকে বৈধ বলেছেন এমন যে কোন দুআই এখানে পড়া যেতে পারে। একা নামাযের ক্ষেত্রে সময়-সুযোগ ও সামর্থ অনুযায়ী বড় ও প্রয়োজনীয় দুআ পড়া ভালো। আর জামাতের নামাযে অসুস্থ ও দূর্বল মুসল্লীদের প্রতি লক্ষ রেখে যথা সম্ভব ছোট দুআ পড়া উত্তম হবে। এটাই হানাফী মাযহাবের মত। (শামী: ১/৫০৫)
tahqiqতাহকীক:তাহকীক চলমান