মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
৫- নামাযের অধ্যায়
হাদীস নং: ৬৮২
- নামাযের অধ্যায়
৬. প্রথম অনুচ্ছেদ - বিলম্বে আযান
৬৮২। হযরত মালেক ইবনে হুয়াইরিছ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি এবং আমার এক চাচাত ভাই নবী পাক (ﷺ)-এর নিকট গেলে তিনি বললেন, তোমরা সফরে গিয়েও আযান দিবে এবং একামত বলবে। আর তোমাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ইমামতি করবেন। -বুখারী
كتاب الصلاة
بَابُ تَاخِيْرِ الْاَذَانِ
وَعَن مَالك بن الْحُوَيْرِث قَالَ: أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَا وَابْنُ عَمٍّ لِي فَقَالَ: «إِذَا سَافَرْتُمَا فأذنا وأقيما وليؤمكما أكبركما» . رَوَاهُ البُخَارِيّ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
এ হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী রসূল স. মালেক বিন হুআইরিস এবং তাঁর সাথীকে নিয়ে জামাতে নামায পড়ার নির্দেশ দিলেন। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, জামাত হওয়ার জন্য ইমামের সাথে একজন হলেই যথেষ্ট। হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে অপর একটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে যে, রসূল স. এক ব্যক্তিকে একাকী নামায পড়তে দেখে বললেন, কোন ব্যক্তি কি নেই যে, তার সঙ্গে নামায পড়ে তাঁকে (জামাতের নেকি) ছদকা দিবে। (আবু দাউদ-৫৭৪, তিরমিযী-২২০) এটা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, জামাত হওয়ার জন্য ইমামের সাথে একজন হলেই যথেষ্ট। আরো প্রমাণিত হয় যে, এরকম ছোট জামাতেও জামাতের ছওয়াব পাওয়া যায়।