আল জামিউস সহীহ- ইমাম বুখারী রহঃ
৪৯- নবীজী সাঃ ও সাহাবা রাঃ ; মর্যাদা ও বিবিধ ফাযায়েল
হাদীস নং: ৩৫৫৮
আন্তর্জাতিক নং: ৩৮৩৫
২১৩৬. জাহিলিয়্যাতের (ইসলাম পূর্ব) যুগ
৩৫৫৮। ফারওয়া ইবনে আবুল মাগরা (রাহঃ) .... আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আরবের কোন এক গোত্রের জনৈকা (মুক্তিপ্রাপ্ত) কৃষ্ণকায় মহিলা ইসলাম গ্রহণ করেন। (বসবাসের জন্য) মসজিদের পাশে ছিল তার একটি ছোট ঘর। আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, সে আমাদের নিকট আসত এবং আমাদের সাথে (নানা রকমের) কথাবার্তা বলত, যখন তার কথাবার্তা শেষ হত তখন প্রায়ই বলতো, “ইয়াওমুল বিশাহ” (মনিমুক্তা খচিত হারের দিন) আমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আশ্চার্যজনক ঘটনাবলীর একটি দিন জেনে রাখুন! আমার প্রতিপালক আমাকে কুফর এর দেশ থেকে নাজাত দিয়েছেন। সে এ কথাটি প্রায়ই বলত। একদিন আয়েশা (রাযিঃ) ঐ মহিলাকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ইয়াওমুল বিশাহ” কী?
তখন সে বলল, যে আমার মুনীবের পরিবারের জনৈক শিশু কন্যা ঘর থেকে বের হল। তার গলায় চামড়ার (উপর মনিমুক্তা খচিত) একটি হার ছিল। হারটি (ছিড়ে) গলা থেকে পড়ে গেল। তখন একটি চিল একে গোশতের টুকরা মনে করে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল। তারা আমাকে হার চুরির সন্দেহে শাস্তি ও নির্যাতন করতে লাগল। শেষ পর্যন্ত তারা আমার লজ্জাস্থানে তল্লাশী চালাল। যখন তারা আমার চারপাশে ছিল এবং আমি চরম বিষাদে ছিলাম। এমন সময় একটি চিল কোথা থেকে উড়ে আসল এবং আমাদের মাথার উপর এসে হারটি ফেলে দিল। তারা হারটি তুলে নিল। তখন আমি বললাম, এটাই সেই হার, যে হার চুরির অপরাধে আমার উপর অপবাদ দিয়েছ, অথচ এ ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
তখন সে বলল, যে আমার মুনীবের পরিবারের জনৈক শিশু কন্যা ঘর থেকে বের হল। তার গলায় চামড়ার (উপর মনিমুক্তা খচিত) একটি হার ছিল। হারটি (ছিড়ে) গলা থেকে পড়ে গেল। তখন একটি চিল একে গোশতের টুকরা মনে করে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল। তারা আমাকে হার চুরির সন্দেহে শাস্তি ও নির্যাতন করতে লাগল। শেষ পর্যন্ত তারা আমার লজ্জাস্থানে তল্লাশী চালাল। যখন তারা আমার চারপাশে ছিল এবং আমি চরম বিষাদে ছিলাম। এমন সময় একটি চিল কোথা থেকে উড়ে আসল এবং আমাদের মাথার উপর এসে হারটি ফেলে দিল। তারা হারটি তুলে নিল। তখন আমি বললাম, এটাই সেই হার, যে হার চুরির অপরাধে আমার উপর অপবাদ দিয়েছ, অথচ এ ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
باب أَيَّامِ الْجَاهِلِيَّةِ
3835 - حَدَّثَنِي فَرْوَةُ بْنُ أَبِي المَغْرَاءِ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: " أَسْلَمَتِ امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ لِبَعْضِ العَرَبِ وَكَانَ لَهَا حِفْشٌ فِي المَسْجِدِ، قَالَتْ: فَكَانَتْ تَأْتِينَا فَتَحَدَّثُ عِنْدَنَا، فَإِذَا فَرَغَتْ مِنْ حَدِيثِهَا قَالَتْ:
وَيَوْمُ الوِشَاحِ مِنْ تَعَاجِيبِ رَبِّنَا، ... أَلاَ إِنَّهُ مِنْ بَلْدَةِ الكُفْرِ أَنْجَانِي
فَلَمَّا أَكْثَرَتْ، قَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ: وَمَا يَوْمُ الوِشَاحِ؟ قَالَتْ: خَرَجَتْ جُوَيْرِيَةٌ لِبَعْضِ أَهْلِي، وَعَلَيْهَا وِشَاحٌ مِنْ أَدَمٍ، فَسَقَطَ مِنْهَا، فَانْحَطَّتْ عَلَيْهِ الحُدَيَّا، وَهِيَ تَحْسِبُهُ لَحْمًا، فَأَخَذَتْهُ فَاتَّهَمُونِي بِهِ فَعَذَّبُونِي، حَتَّى بَلَغَ مِنْ أَمْرِي أَنَّهُمْ طَلَبُوا فِي قُبُلِي، فَبَيْنَا هُمْ حَوْلِي وَأَنَا فِي كَرْبِي، إِذْ أَقْبَلَتِ الحُدَيَّا حَتَّى وَازَتْ بِرُءُوسِنَا، ثُمَّ أَلْقَتْهُ، فَأَخَذُوهُ، فَقُلْتُ لَهُمْ: هَذَا الَّذِي اتَّهَمْتُمُونِي بِهِ وَأَنَا مِنْهُ بَرِيئَةٌ "
وَيَوْمُ الوِشَاحِ مِنْ تَعَاجِيبِ رَبِّنَا، ... أَلاَ إِنَّهُ مِنْ بَلْدَةِ الكُفْرِ أَنْجَانِي
فَلَمَّا أَكْثَرَتْ، قَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ: وَمَا يَوْمُ الوِشَاحِ؟ قَالَتْ: خَرَجَتْ جُوَيْرِيَةٌ لِبَعْضِ أَهْلِي، وَعَلَيْهَا وِشَاحٌ مِنْ أَدَمٍ، فَسَقَطَ مِنْهَا، فَانْحَطَّتْ عَلَيْهِ الحُدَيَّا، وَهِيَ تَحْسِبُهُ لَحْمًا، فَأَخَذَتْهُ فَاتَّهَمُونِي بِهِ فَعَذَّبُونِي، حَتَّى بَلَغَ مِنْ أَمْرِي أَنَّهُمْ طَلَبُوا فِي قُبُلِي، فَبَيْنَا هُمْ حَوْلِي وَأَنَا فِي كَرْبِي، إِذْ أَقْبَلَتِ الحُدَيَّا حَتَّى وَازَتْ بِرُءُوسِنَا، ثُمَّ أَلْقَتْهُ، فَأَخَذُوهُ، فَقُلْتُ لَهُمْ: هَذَا الَّذِي اتَّهَمْتُمُونِي بِهِ وَأَنَا مِنْهُ بَرِيئَةٌ "
